ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্পে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩ বার

বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট খাতের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখেছে সংগঠনটির মালিক ও শ্রমিকেরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রল পাম্প মালিকদের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।

এদিকে এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রল পাম্প মালিকরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে জানান পেট্রল পাম্প মালিক ও শ্রমিকেরা। এতে করে জ্বালানি তেল না পাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল এখন মোটরসাইকেল চালাতে পারছেন।

রাজশাহী নগরীর পাম্পগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্পে তেল নিতে আসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ছেন বিপাকে।

নগরীর সাহেব বাজার এলাকার গুল গফুর পেট্রল পাম্পের তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দেখি পাম্প বন্ধ। তিনটি পেট্রল পাম্প ঘুরেছি, কোথাও কেউ তেল দিচ্ছে না। এখন কী করবো বুঝতেছি না। দেখি বেশি দামে হলেও বাহিরে দোকান থেকে কিনতে হবে। তা না হলে তো গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।’

এই পাম্পের অপর আরেক ক্রেতা আমজাদ হোসেন শিমুল বলেন, ‘হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এখন আমরা তেল কই পাবো। অন্তত দুই বা তিন দিন আগে এটা জানানো দরকার ছিল। এইভাবে পাম্প বন্ধ করা ঠিক হয়নি। দ্রুত এগুলো খুলে দেওয়া দরকার।’

বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিলকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্পে চলছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

আপডেট টাইম : ০৬:২৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট খাতের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখেছে সংগঠনটির মালিক ও শ্রমিকেরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রল পাম্প মালিকদের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।

এদিকে এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রল পাম্প মালিকরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে জানান পেট্রল পাম্প মালিক ও শ্রমিকেরা। এতে করে জ্বালানি তেল না পাওয়ার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল এখন মোটরসাইকেল চালাতে পারছেন।

রাজশাহী নগরীর পাম্পগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্পে তেল নিতে আসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ছেন বিপাকে।

নগরীর সাহেব বাজার এলাকার গুল গফুর পেট্রল পাম্পের তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দেখি পাম্প বন্ধ। তিনটি পেট্রল পাম্প ঘুরেছি, কোথাও কেউ তেল দিচ্ছে না। এখন কী করবো বুঝতেছি না। দেখি বেশি দামে হলেও বাহিরে দোকান থেকে কিনতে হবে। তা না হলে তো গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।’

এই পাম্পের অপর আরেক ক্রেতা আমজাদ হোসেন শিমুল বলেন, ‘হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এখন আমরা তেল কই পাবো। অন্তত দুই বা তিন দিন আগে এটা জানানো দরকার ছিল। এইভাবে পাম্প বন্ধ করা ঠিক হয়নি। দ্রুত এগুলো খুলে দেওয়া দরকার।’

বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিলকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।