বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে তার পরিবার। মামলার এজাহারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন আইনজীবী সাইফুল ইসলামের বাবা জামাল উদ্দিন। সেই সঙ্গে এজাহারে মামলা দেরিতে করার কারণও উল্লেখ করেছেন বাদী জামাল উদ্দিন।
মামলায় বলা হয়েছে, সাইফুল ইসলামের মরদেহ দাফন ও ঘটনার বিষয়ে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগার কারণে মামলা দায়ের করতে কিছুটা দেরি হয়।
এদিকে আজ শনিবার ভোরে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় ৩১ জনকে এজাহারনামীয় বাদে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন-চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।
প্রসঙ্গত, আসামিদের মধ্যে শুভ কান্তি দাসের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তিনি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। অন্য আসামিরা চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা সেবক কলোনি এবং বান্ডেল রোড এলাকায় বসবাস করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওইদিন কর্মস্থল আদালত পাড়া থেকে বাসায় ফেরার পথে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন চিন্ময় সমর্থকরা।