রাজধানীর পল্লবীতে গ্যাসের আগুনে এক পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন দগ্ধের ঘটনায় রুমা আক্তার (৩২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, রুমার শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর স্বামী আব্দুল খলিল মারা যান।
রুমা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামের মৃত খলিলের স্ত্রী। তার বাবার নাম মৃত মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে ৫ নম্বর এভিনিউয়ের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে এক পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে সোমবার ভোরে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে রং মিস্ত্রি আব্দুল খলিল (৪০) ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই দম্পতির তিন সন্তান আব্দুল্লাহ (১৩), মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪) এবং একই বাসার ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী সপ্না (২৫) ও শাহজাহান (৩৫)। এদের মধ্যে শাহজাহানকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ।
খলিলের ভায়েরা আব্দুল হালিম জানিয়েছিলেন, ওই বাসায় কোনোভাবে পুরো রুমটিতে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। মশার উৎপাতের কারণে খলিল রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কয়েল ধরানোর জন্য দিয়াশলাই ধরাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে তারা সবাই দগ্ধ হয়।
খলিলের বড় ভাই মিলন বলেন, ওই বাসার গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে রুমে জমা হয়েছিল বলে মনে করছেন তিনি। ঘটনার পর পর আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ভোরে জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের নিয়ে আসেন।