এমপির উপস্থিতিতে বিদ্রোহীর কর্মীদের মারধরের অভিযোগ!

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আকতারের ৭ কর্মীকে এমপি আয়েন উদ্দিনের উপস্থিতিতে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে মোহনপুরের ধুরইল এলাকায় আক্তারের পোস্টার টানাতে গেলে মারধরের পর ওই ৭ কর্মীকে এমপি আয়েন উদ্দিন পুলিশের হাতে তুলে দেন বলেও অভিযোগ করেছেন আখতারুজ্জামান।

আখতারুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, আমি রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। এরই মধ্যে বেশকিছু হামলা ও হুমকির মধ্য দিয়েই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি।

এর পর বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মোহনরপুর উপজেলার ধুরোইল ইউনিয়নে আমার পোষ্টার লাগাতে বাধা দেওয়া ও কর্মীদের আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। এমপি আয়েন উদ্দিন নিজে এবং তার লোকজন আমার কর্মীদের পিটিয়েছেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। বিষয়টি নিয়ে আমি নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।

তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা তাদের বহনকৃত দুইটি মাইক্রো গাড়ি ভেঙ্গে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর পরই সেখানে এমপি আয়েন উদ্দিন উপস্থিত হয়ে আকতারের কর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমপি আয়েন ও তাঁর লোকজন আকতারের কর্মীদের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ওসি তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাদেরই উল্টো আটকে রাখা হয়।

মারধরের ঘটানয় আহতরা হলেন, আকতারের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ড. আবু রায়হান মাসুদ, বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন(৩৫), রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট(৩০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু(৪৫), মৃত এ্যাড.মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে এ্যাড.গোলাম আযম ফারুক(৫৩), মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন(৩০), লক্ষীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আলী (৫৩) ও রাজশাহী হড়গ্রাম এলাকার মন্টুর ছেলে রাফি (৩৫)।

মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনেক থানায় রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমপি আয়েন বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। আমি গিয়ে পরিস্তিতি শান্ত করেছি। ওরা রাতের আঁধারে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা করছিল। তাই এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

প্রসঙ্গত, এর আগে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে এমপি আয়েনকে সতর্ক করে চিঠি দেন জেলা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর