অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, শাশুড়ি আটক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাতক্ষীরার আশাশুনিতে যৌতুকের দাবিতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ আসমা খাতুন (২২) শ্যামনগর উপজেলার খেজুর আটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার সরদারের মেয়ে।

হত্যার পর মরদেহ বারান্দায় গ্রিলে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়েছে দাবি করেন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় আসমার শাশুড়িকে আটক করা হলেও স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর পালিয়ে গেছেন।

আসমার বাবা সাত্তার সরদার বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের নসিমাবাদ গ্রামের আরিফুল সানার (২৮) সঙ্গে আসমার বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর থেকে জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েকে বাড়িতে রেখে গত বছর সাতক্ষীরা আদালতে ৪৫/২১ তাদের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। মামলা থেকে রেহাই পেতে তারা আসমাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এর মধ্যে আমার মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই বাচ্চা নষ্ট করতে তারা নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিল।

তিনি আরও বলেন, গত বুধবার জামাই আমার বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে যায়। রোববার সকালে আমার এক আত্মীয়ের কাছে শুনতে পাই আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এসে দেখতে পাই মেয়ের মরদেহ বারান্দায় গ্রিলে ঝুলে আছে। নাকে-মুখে রক্তের দাগ। ঘরে আসমার বিছানা-বালিশে রক্তের দাগ লেগে আছে। তখনই বুঝতে পারি আমার মেয়েকে এরা হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। আমি মেয়ে হত্যার সঠিক বিচার চাই।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি নাজমা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোববার বিকেলে আসমার বড় ভাই সাইফুল বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর