যেভাবে আজওয়া-মরিয়ম খেজুর চাষ করে কোটিপতি গণিতে ডিগ্রিধারী বাদল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উচ্চশিক্ষা শেষে তরুণদের ঝোক যেখানে চাকরির দিকে, সেখানে ব্যতিক্রম নজরুল ইসলাম বাদল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক করা এই যুবক সাত বছর আগে যখন কৃষিকাজে মনোনিবেশের সিদ্ধান্ত নেন, তখন বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করত।

কিন্তু আত্মপ্রত্যয়ী বাদল নিজ সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিলেন। ২০১৫ সালে শুরুর দিকে প্রবাসী এক বন্ধুর সহযোগিতায় দেশের মাটিতে বিদেশি খেজুরের চাষ ও নার্সারি করার পরিকল্পনা করেন। মরুভূমি অঞ্চলের ফল আজওয়া-মরিয়ম বাংলাদেশের কাদামাটির ফলানো সম্ভব কিনা তখন তা নিয়েও ভাবনার অন্ত ছিল না বাদলের।

ওই বন্ধুর সহযোগিতায় বিশ্বের ছয় দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের খেজুরের বীজ ও চারা সংগ্রহ করেন বাদল। ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী ইউনিয়নের আলিমপাড়ায় নিজের ৭০ শতক জমিতে গড়ে তোলেন খেজুরবাগান। প্রথমে ১৮টি চারা রোপণ করে মরুর খেজুরের চাষ শুরু করেন। এর জন্য প্রথমে তার খরচ হয়েছে ৫২ লাখ টাকা।

২০১৭ সালে তার বাগানের গাছগুলোতে ফলন আসতে শুরু করে। একেকটি খেজুরের বাধার ওজন ছিল প্রায় ২৫ কেজি। খেজুরের বীজ কিংবা সাকার থেকে চারা উৎপাদন করে খেজুরের নার্সারিও গড়ে তোলেন বাদল। সেই বছরেই বাগান থেকে ৬২ লাখ টাকার চারা বিক্রি করেন।

এর পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজ বাগানের সুস্বাদু খেঁজুর ও চারা বিক্রি করে মাত্র সাত বছরেই কোটিপতি হয়েছেন তিনি। এখন তাকে নিয়ে গর্ব করেন বন্ধু, এলাকাবাসী।

বর্তমানে তার বাগানে ও নার্সারিতে ১৬ প্রজাতির খেজুরগাছ রয়েছে। বাদলের খেজুরের বাগানে যেসব জাত রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আজওয়া, মরিয়ম, আম্বার, খুনিজি, হেলালি, ম্যাডজেলি, বারহি, খালাস, ওমানি, সুক্কারি, সাফাওয়ি ইত্যাদি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর