ঘুমধুম সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। ওই পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯ জন।

ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরিবর্তে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা নেয়া হবে। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে তাৎক্ষণিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

তাৎক্ষণিকভাবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আতঙ্কের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীর মানসিক অবস্থা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসিন পারভেজ তিরমিজি বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেছেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়; সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে অস্থিরতার খবরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা বিকল্প ভেন্যু তৈরি করে রেখেছিলাম। কিছুক্ষণ আগে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম কেন্দ্রের কাছে গোলাবর্ষণজনিত কারণে কেন্দ্রটি পরিবর্তন করার কথা বলেন। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সচিব ফোনে অনুমোদন দিয়েছেন। এরপরই উখিয়া কক্সবাজারে ঘুমধুম কেন্দ্র স্থানান্তরিত করার জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছি। এখন এই কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন কাজ করছেন। কোনো পরীক্ষার্থী চলে এলে পৌঁছে দিতে ঘুমধুম কেন্দ্রে কিছু যানবাহন প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই মাইকিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি গোলা এসেছে পড়েছে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা শিশুসহ ৬ জন।

তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে চারটি গোলা এসে পড়ে। এর মধ্যে ৩টি শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও আরেকটি বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়েছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশুসহ ৭ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যান।

আহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান।

এর আগে দুপুরে এই সীমান্তেই হেডম্যানপাড়ায় মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন এক বাংলাদেশি যুবক। আহত অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যার বাড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তুমব্রু হেডম্যানপাড়ায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর