বিষখালীতে জোয়ার, কাঁঠালিয়ার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৭ গ্রাম প্লাবিত

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিষখালী ও হলতা নদীর জোয়ারের পানি তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৭টি গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর প্লাবিত হয়েছে।

ভেঙে গেছে কাঁঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ।

গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ১০টি রাস্তা দেবে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচিছন্ন রয়েছে এসব গ্রামের। ফলে হাজার হাজার মানুষের দিন কাটছে  চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ভারি বৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়ায় বিষখালী ও হলতা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ার এসেছে। জোয়ারের পানিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসাসহ অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ২৭টি গ্রাম। জোয়ারের পানিতে উপজেলার আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর পানিতে ভাসছে। দুই/তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে ঘর। উপজেলা পরিষদের সবগুলো অফিস ভবন, ইউএনওর বাসভবন, কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঁঠালিয়া লঞ্চ ঘাট,  সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, দুই/একদিনের মধ্যে পানি না কমলে রোপা আমন ধান পচে যেতে পারে।

উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ৪০ শতাংশ মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। ফলে এসব খামারিদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, কাঁঠালিয়া উপজেলাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোস্টাল এরিয়া ঘোষণা করা এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সমাধান সম্ভব নয়।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. রাকিব হোসেন জানান, বিষখালী ও হলতাসহ এ অঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর