হাওর বার্তা ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মানিকা এলাকার ১৩ জেলে সাত দিন পর বাড়িতে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বারেক মাঝির মালিকাধীন ‘লামিয়া’ নামের মাছ ধরার ট্রলারে করেই তারা উত্তর চর মানিকা মাছ ঘাটে আসেন। এ সময় মাছ ঘটে অপেক্ষা করতে থাকা জেলেদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফিরে আসা জেলেরা হলেন- বারেক মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, আল-আমিন, দেলওয়ার, আলাউদ্দিন মীর, শাহিন হাওলাদার, আবুল মৃধা, মনির বেপারী, সারোয়ার, ইউসুফ, সফিউল্ল্যাহ, ইব্রাহিম ও আবুল কালাম।
ট্রলার মালিক বারেক মাঝি জানান, ১৭ আগস্ট সকালে তারা ১৩ জন ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। এর পর থেকেই বৈরি আবহাওয়ায় সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে তাঁরা জোয়ারে ভেসে সুন্দরবনের একটি বিচ্ছিন্ন চরে আশ্রয় নেন। কিন্তু যখন ভাটা পড়ে তখন তাদের ট্রলারটি চরে আটকে যায়। এ কয়দিন তাঁরা ওই চরেই অবস্থান নেন। তবে সেখানে কোনো মানুষের দেখা যায়নি। পরে ২৪ আগস্ট খুলনার একটি মাছ ধরার ট্রলার সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে ইশারা করলে ওই ট্রলারটি এসে তাদের ট্রলারটিকে টেনে নদীতে ভাসায়। দুপুরের দিকে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মহিপুরের চালনায় নেটওয়ার্কের মধ্যে এসে তাঁর ভাই বাবুলকে মোবাইল ফোন কল করে জানায় তাঁরা সবাই সুস্থভাবে বেঁচে আছেন।
বারেক মাঝি আরো জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ফিরে আসা জেলেরা অভিযোগ করেন, বঙ্গোপসাগর থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পথে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, নৌ-বাহিনীসহ প্রশাসনের কোনো দেখা ও সহযোগিতা পায়নি তারা।
চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক জানান, জেলেরা বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান জানান, চরমানিকা ইউনিয়নের ১৩ জেলেসহ বারেক মাঝির ট্রলারটি চরফ্যাশনে এসেছে। জেলেদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে উপজেলার দুজন জেলে।