এবার মেক্সিকান তরুণীর কাছে যেতে ভিসার অপেক্ষায় জামালপুরের যুবক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেম মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশ। সে কথা আবারও প্রমাণিত হলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। প্রায় তিন বছর ধরে কথা বলতে বলতে প্রেম। সেই প্রেমের টানে মেক্সিকোর গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস ছুটে এলেন বাংলাদেশে।

নিজ দেশের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি-সবকিছুকে পেছনে ফেলে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের রবিউল হাসান রুমানের প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন তিনি। তবে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই দেশে ফিরে যেতে হয় তাকে।

এবার সেই প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে যেতে ভিসার অপেক্ষায় স্বামী রবিউল হাসান রুমান। ভিসা হাতে পেলেই উড়াল দেবেন সাড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ মেক্সিকোর উদ্দেশে। অচেনা সেই শহরেই গড়তে চান সুখের সংসার।

২০১৯ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকা আসেন মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস। এরপর তাকে স্বাগত জানান রুমান ও তার পরিবার। বিমানবন্দর থেকেই ছোটেন ঢাকা জজ আদালতে। গ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের।

গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের নাম রাখা হয় লাইলী আক্তার। মধ্যরাতে সরিষাবাড়ির পোগলদিঘা গ্রামে পৌঁছান নয়া দম্পতি। সেখানে এক মাস অবস্থানের পর নিজ দেশে ফিরে যায় লাইলী আক্তার। যাওয়ার আগে রুমানকে শিগগিরই মেক্সিকোতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন লাইলী আক্তার।

মেক্সিকো যাওয়ার বিষয়ে রবিউল হাসান রুমান জানান, লাইলী চলে যাওয়ার পর আমি মেক্সিকো যাওয়ার জন্য গত ১ মে মাসে ভারতের দিল্লীতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১২ দিন ছিলাম। কাগজপত্র সব জমা দিয়েছি। সেখান থেকে ভিসার জন্য ডাকলেই ভিসা নিতে যাব। ভিসা নিয়ে আসার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মেক্সিকো চলে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সেখানে আমি যেন ভালোভাবে থাকতে পারি। সুখী হতে পারি।

জামালপুরের যুবক রুমান ও মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি

রবিউল হাসান রুমানের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, লাইলী আক্তারের সঙ্গে আমার ছেলের প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। আমরাও মাঝে-মধ্যে কথা বলি। মেয়েটা খুবই ভালো। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।

জানা গেছে, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল হাসান রুমান। ময়মনসিংহের রুমডো ইন্সটিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করছেন তিনি। মেক্সিকোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক শেষ করেন লাইলী আক্তার। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর