এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরছে প্রাণ ঢাকা-ভাঙ্গা সড়কে বেপরোয়া চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেড় মাসে ১৭৫টি দুর্ঘটনায় আহত তিন শতাধিক, নিহত ১৫, আর্থিক ক্ষতি সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা :: সড়কে নজরদারী বাড়ানোর দাবি :: মোটরসাইকেলের পৃথক লেন :: ব্রিজের দুই পাশে ট্রমা সেন্টার খোলার পরামর্শ
স্বপ্নের পদ্মা সেতুও ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ সেতু সংযোগ হিসেবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে দ্রæত সময়ের মধ্যে মানুষ যাতায়াত করবে। কিন্তু যানবাহন চলাচলে অসতর্কতা ও বেপরোয়ার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। পদ্মা সেতুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর থাকায় সেতুর উপর দুর্ঘটনা তেমন ঘটছে না। কিন্তু সেতুর দুই পাশে এক্সপ্রেসওয়েতে নজরদারী দুর্বল হওয়ায় বেপরোয়াভাবে যানবহান চলাচল করায় দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ২৬ জুন থেকে চলতি মাসের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, কাভারভ্যান, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। তবে সেভ দ্য রোডের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত ৪৫ দিনে এক্সপ্রেসওয়েতে ১৭৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত তিন শতাধিক, নিহত ১৫, আর্থিক ক্ষতি সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা ইনকিলাবকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রæতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর প্রবণতা দেখা যায়। মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন না থাকায় মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মোটরসাইকেলের জন্য এক্সপ্রেসওয়েসহ সকল সড়কে পৃথক লেন করা উচিত। দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত পাচ্ছে। পদ্মা সেতু যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার পর থেকে এই সড়কে দুর্ঘটনা যেন পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। তবে পদ্মা সেতুতে এখনো মোটরসাইকেল চালানো নিষেধ থাকলেও পদ্মা সেতুর দুইপাড়ে নির্ধারিত স্পটে এসে মোটরসাইকেলগুলো পিকআপে করে সেতু পারাপার করার পর আবার চালানো শুরু করে। এমনকি অনেকে ট্রলারে করে মোটরসাইকেল পার করে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে বেপরোয় গতিতে চালায়। একারণে দুর্ঘটনায় বেশিরভাগই মোটরসাইকেলের যাত্রী।

 এই মহাসড়কে বাস ও ট্রাকের সাথে সংঘর্ষেও দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে মানুষ। নিহতরা মাথায় আঘাতজনিত কারণে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়। বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন অনেক মোটরসাইকেল চালক। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। আবার অনেকে চিকিৎসা শেষে হাত-পা হারিয়ে ঘরে বসে স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্বকে আলিঙ্গন করেছেন। এসব দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। প্রিয়জনকে হারিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। আর যারা এসব দুর্ঘটনায় আহত বা পঙ্গু হয়েছেন তারা এখন পরিবারের বোঝা হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের চিকিৎসার জন্য আত্মীয়স্বজনরা বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে আর্থিকভাবে দায়-দেনার মধ্যে দিনযাপন করছেন।

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন থেকে খুলে দেয়া হয় গণপরিবহন চলাচলের জন্য। এই দিন থেকেই সরাসরি ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এতে এই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। গণপরিবহনের চাপ বাড়ার সাথে সাথে দুর্ঘটনাও বাড়তে থাকে। গত ২৬ জুন থেকে চলতি ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, কাভারভ্যান, মোটরসাইকেলসহ একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের মার্চ মাসে ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। যা আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক নামে নামকরণ করা হয়। ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সড়কটির প্রতি কিলোমিটারের ব্যয় বিবেচনায় এটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এখন আর আগের মতো ওই এলাকার মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য ঘটে অপেক্ষা করতে হয় না। তবে সহজ সড়ক যোগাযোগ হলেও দুর্ঘটনা বেড়েছে অনেক। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য প্রতিরোধের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি এই ৫৫ কিলোমিটার সড়কে নেই পর্যপ্ত হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। যেখানে এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রæত স্বাস্থসেবা দেয়া যাবে। সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যকর থাকতে হবে। যাতে এই সড়কের যেখানেই কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রæত হাসপাতালে পাঠানো যায়। এছাড়াও গণপরিবহন ও যাত্রীদের সেবা প্রদান ও যেকোনো সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন যোগাযোগ সংশ্লিষ্টরা।

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে, শ্রীনগর-দোহার, শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ আন্তঃসড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে নানা সময়ে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরে নির্মাণ করা হয় ৩ তলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার ভবন। গত ২০১৫ সালে কাজ শুরু করে ৪ বছর সময় ব্যয়ে ২০১৮ সালে শেষ হয় হাসপাতাল ভবনটির নির্মাণকাজ। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও চালু হয়নি ট্রমা সেন্টারটি। ফলে ভবনটি এখন নেশাখোরদের আড্ডারস্থল ও ভুতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। দুইবারে ট্রমা সেন্টারের ভবন নির্মাণে মোট সময় হয় ৯ বছরেরও অধিক সময়। নির্মিত হওয়ার পর গত ৫ বছর ধরে পড়ে আছে অব্যবহৃত ও অকার্যকর অবস্থায়। ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেন্টারটি নির্মিত হলেও কেউ কোনো সুফল পাচ্ছেন না। বরং পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কার্যক্রমহীন হয়ে পরেছে ভবনটি।

গত ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী গুরুত্বর আহত হয়েছে। রাত পৌণে ২টার দিকে উপজেলার ছনবাড়ী ব্রিজে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা হলেন, মো. শাকেরউজ্জামান ঢাকার মাদারটেক এলাকার এবং সালাউদ্দিন টিটু ঢাকার বাসাবো এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একই দিনে এক ঘণ্টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে তিনস্থানে তিনটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। পৃথক মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ জন, শ্রীনগরে কোলাপাড়া ইউনিয়নের কেয়টচিড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ১ জন এবং সন্ধ্যায় ছনবাড়ী এলাকায় সার্ভিস লেনে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার ২ জন গুরুত্বর আহত হন। পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এক্সপ্রেসওয়েতে আহতরা হলেন মোটর সাইকেল আরোহী শিশির রহমান, ঢাকা এয়ারপোর্ট এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে, আলামিন, ওই এলাকার আ. মান্নানের ছেলে।

কেয়টচিড়া এলাকায় মোটরসাইকেল ও মোটর সংঘর্ষে আহত সুকান্ত সরকার মাগুরা সদর থানার এলকার সুবাস সরকারের ছেলে। ছনবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে আহতরা হলেন, আরোহী সিজান, ঢাকা বংশাল এলাকার রাসেলের ছেলে ও চালক আলিফ ওই এলাকার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল মাওয়াগামী প্রাইভেটকার উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলকে পেছন দিক থেকে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে মোটরচালক আরোহী শিশির রহমান ও আলামিনের পা ভেঙে গুরুত্বর আহত হয়।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেয়টচিড়ার এলাকায় মহাসড়কে মাওয়াগামী অজ্ঞাত মোটরসাইকেল ও অরেকটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক সুকান্ত সরকার ডান পা ভেঙে গুরুত্বর আহত হয়। অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছনবাড়ী এলাকায় মাওয়াগামী মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক আলিফ ও আরোহী সিজান গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
গত ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ৪ বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ২ আহত ২০ হয়েছেন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের উমপাড়া বটতলা এলাকায় বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আশপাশের স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে এবং সংবাদ পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাত নামা পুরুষসহ শরীয়তপুরের শিশু যাত্রী তাহসিন পিতা-আরিফ নিহত হয়।

গত ১১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. শামীম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গভীর রাতে ঢাকা-মাওয়া একপ্রেসওয়ের উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের কেয়টখালীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামের মো. সিরাজ হাওলাদারের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

গত ৫ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মাইক্রোবাস উল্টে দুই নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। উপজেলার হাসাড়া এলাকায় মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেনÑ ইয়ামিন আক্তার, লায়লা আক্তার ও নেওয়াজ জামান। তাদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সবার বাড়ি রাজধানীর উত্তরায়।

গত ২২ জুলাই মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানার গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে একটি বাস। রাত ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর দোগাছি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা গাড়িতে থাকলেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে গাড়ির পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত ৮ জুলাই ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায় চারটি প্রাইভেটাকার। তবে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। রাত আড়াইটার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর