আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় শিক্ষিকাকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন!

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে বিউটিশিয়ন শাম্মী আক্তারকে (৪০) খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৭) বাদী হয়ে ফুপু ও সৎ বাবাকে আসামি করে সোমবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করে।

মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ এ ঘটনায় আয়শা খানম রোজি (৫০) নামে এক শিক্ষিকা ও শাম্মী আক্তারের বর্তমান স্বামী সিরাজুল সালেকিনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।

আয়শা খানম রোজি (৫০) কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষিকা ও পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা এমাদুল হকের স্ত্রী। সিরাজুল সালেকিন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত শাম্মী আক্তার শিক্ষিকা আয়শা খানমের ননদ।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারী উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার কেএম লতীফ সুপার মার্কেটে দ্বিতীয় তলায় ১০ বছর ধরে ‘শাম্মী বিউটি পার্লার’ নামের একটি পার্লারের ব্যবসা করে আসছিল। প্রথম স্বামী ফিরোজ আলমের সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সেই সংসারের দুই সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানা পাড়ায় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুই বছর আগে বিয়ে হওয়া দ্বিতীয় স্বামী সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। ৭ আগস্ট রোববার শাম্মী আক্তার ও সালেকিনের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সালেকিন ওই দিনই সকালে বাসায় আসেন। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে নিকট আত্মীয় শিক্ষিকা আয়শা খানমও ওই বাসায় আসেন।

রাতে শাম্মী আক্তার স্বামী সালেকিনকে নিয়ে ঘরের পিছনের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আয়শা খানম মাঝ ঘরে ঘুমায়। শাম্মী আক্তার গভীর রাতে তার স্বামী সালেকিন ও আয়শা খানমকে ঘরের মাঝের বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়ার একপর্যায় আয়শা খানমের সহযোগিতায় স্বামী সালেকিন মুখে বালিশ চাঁপা দিয়ে শাম্মী আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর