আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে এবার শ্রাবণ মাসের ৯ তারিখ থেকে বৃষ্টির দেখা মেলে। বর্ষার পানিতে জমি ভেজার পরই আমন ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধানের জমিতে পানি জমেছে। পানি আসার পরই কৃষক ব্যস্ত হয়ে ওঠেন জমি তৈরিতে। ১৫ কেজি ডেপ ও ৫ কেজি পটাস সার ছিটিয়ে জমি তৈরি করেন তারা। আমন ধানের বীজতলা থেকে শ্রমিকরা চারা তুলছেন এবং তা জমিতে রোপন করছেন।

এদিকে, আষাঢ় মাসের মাঝামাঝিতে আমন ধান চাষ করার নিয়ম থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় তা পারেননি কৃষকরা। এর আগে অনেকেই ডিপ আর সেলো মেশিন দিয়ে আমনের চারা রোপন করেছেন। জমিতে বাড়তি জৈব সার এবং সেচের পানি দেওয়ায় খরচও বেশি হচ্ছে।

হিলির জালালপুর গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, বর্ষার অপেক্ষায় ছিলাম। চার দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে পানি জমেছে, চাষ শুরু করেছি। এবার আমি ১১ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করছি।

ঘোড়াঘাট উপজেলার উসমানপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ১৬ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবো। বৃষ্টি ছিলো না, সময় চলে যাচ্ছিলো, তাই আগেই কিছু জমি ডিপ চালিয়ে চাষ করেছি। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, বাঁকি জমিগুলো চাষ করছি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মমতাজ সুলতানা  বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় ৮ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে। প্রায় জমিতে বর্ষার পানি জমে গেছে। আশা করছি, কৃষকদের আমন চাষ করতে আর অসুবিধা হবে না।

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান  বলেন, জেলার ১৩ উপজেলায় ২ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বর্ষার শুরুর দিকে বৃষ্টি ছিলো না। কৃষকরা একটু বিপাকে পড়ে ছিলেন। তবে কয়েকদিন বৃষ্টি হচ্ছে। আশা করছি, পানির জন্য কৃষকদের সমস্যা হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর