হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) পণ্য হিসেবে সনদ পেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের দশম পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি। ফজলি আমেরও জিআই সনদ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও শুনানি শেষ না হওয়ায় তা চূড়ান্ত হয়নি।
বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে ২০১৯ সালের মে মাসে মৎস্য অধিদপ্তর জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে।
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর সরকারের পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর গেজেট জারি করে এবং দুটি আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশ করে।
মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জিআই সনদ পাওয়ার ফলে এটি বাংলাদেশের হয়ে থাকল। এটি আর কেউ দাবি করতে পারবে না।
নিয়ম অনুযায়ী জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না। বাগদার ক্ষেত্রে সেই সময় গত ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়। এর মধ্যে কেউ আপত্তি তোলেনি।
জিআই হচ্ছে একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে। দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি।