হাওর বার্তা ডেস্কঃ চার বছর বিরতির পর ফরিদপুরে আজ থেকে আবার শুরু হয়েছে জসীম পল্লী মেলা। জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পল্লিকবি জসীমউদদীনের বাড়ি-সংলগ্ন জসীম উদ্যানে কুমার নদের পাড়ে ১৫ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (১৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে জসীম উদ্যানে স্থাপিত জসীম মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা পল্লিকবির জামাতা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।
জসীম ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপক কুমার রায় জানান, এ মেলা উপলক্ষে ১৫৩টি স্টলে লোকজ বিভিন্ন চারু ও কারুপণ্যের বিপণনের ব্যবস্থা রয়েছে। ১৫ মে শুরু হয়ে এ মেলা শেষ হবে ৩১ মে। প্রতিদিন মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে জসীম মঞ্চে গান, নাচ, নাটকসহ বিভিন্ন লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে ফরিদপুরের ৫০টি এবং জেলার বাইরের ৬টি জেলার মোট ৫৬টি সংস্কৃতিক দল অংশ নেবে।
তিনি আরও জানান, আগামী বছর থেকে জসীম পল্লী মেলা ১ জানুয়ারি থেকে আগের সময়সূচি অনুযায়ী আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে জসীম মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওই বছর ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি পল্লিকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার ব্যাপ্তিকাল প্রথমে তিন দিন ছিল। পরে ৭, ১৫ ও এক মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন হয়েছে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলে মেলার গুরুত্ব বেড়ে যায়।
পরে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেন এ মেলা আয়োজন শুরু করে। সর্বশেষ গত ২০১৭ সালে জসীম পল্লী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ফরিদপুর-৩ আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কবিপুত্র জামাল আনোয়ারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে বন্ধ হয়ে যায় এ মেলা। ২০২০ সালে রাজনৈতিক কারণে খন্দকার মোশাররফ ফরিদপুরের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিলেও করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে জসীম পল্লী মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।