ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন, স্বামী গ্রেপ্তার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে রোববার থানায় মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে।

জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরশিহারি গ্রামের রিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে শিউলি আক্তার(১৯) ২০২১সালের ৩সেপ্টেম্বর শিউলির বিয়ে হয় নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঝগড়াকান্দা গ্রামের মৃত লাল চান মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি শ্রমিক রাজন মিয়া ওরফে রফিকের (২১) সাথে। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও গত রমজানের পূর্ব থেকে শিউলির পর নির্যাতন শুরু হয় যৌতুক চেয়ে। তারপর শিউলির বাবা তার মেয়ের সংসার সুখী রাখতে একটি মোবাইল দেন।

তারপরও ২০হাজার টাকা, খাট, সুকেস, আলনা, বাসন ও যৌতুক হিসেবে চাইলে দিতে অস্বীকার করে শিউলি। সে কারণে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। গত শুক্রবার শিউলির শ্বাশুড়ি ও জাল রুমা আক্তার মিলে মারধর করে। তাদের সাথে স্বামী রাজনও মারধরে যুক্ত হয়। হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে শরীরে মরিচের গুঁড়া ঢেলে ফেলা হয় পুকুরে। এরপর শুক্রবার রাতে শিউলিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরশিহারি গ্রামে তার বাবার বাড়ির সামনে রেখে পালানোর চেষ্টা করে স্বামী রাজন। এঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকে ফেলে। পরে শনিবার রাতে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

 এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ শিউলি বাদি হয়ে গতকাল রোববার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিকেলে স্বামী রাজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। নির্যাতিতা শিউলি আক্তার বলেন, স্বামী রাজনসহ যারা নির্যাতন করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। দু’জনকে আসামী করে মামলাটি হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর