ধামইরহাটে হচ্ছে কঞ্চি থেকে বাঁশের চারা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাওয়া যাচ্ছে বাঁশের কঞ্চি থেকে উন্নত জাতের বাঁশের চারা। এখানকার নার্সারিতে অনেকটাই কলম পদ্ধতিতে বাঁশের কঞ্চি থেকে এই চারা তৈরি করা হচ্ছে।

প্রতিটি চারা গাছ প্রকার ভেদে ১৫-২০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যার কারণে বাঁশের কোড়ল থেকে বাঁশের বংশ বিস্তার করার ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। যে কেউ ইচ্ছে করলে এই নার্সারি থেকে প্রয়োজন মতো বাঁশের চারা সংগ্রহ করে বার্ণিজ্যিক ভাবে গড়ে তুলতে পারেন লাভজনক বাঁশের বাগান।

ধামইরহাট এলাকার বনবিট কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, নওগাঁ ও তার আশেপাশের অঞ্চলের মধ্যে আমিই প্রথম কঞ্চি থেকে বাঁশের চারা তৈরির বাণিজ্যিক এই নার্সারি নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছি। এই অঞ্চলে মানসম্মত বাঁশের কঞ্চি অনেক সহজলভ্য তাই আমি এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি।

কঞ্চি থেকে বাঁশের চারা তৈরি একটি সহজ কলম পদ্ধতি। আমরা প্রথমেই বাঁশ থেকে মানসম্মত কঞ্চি কেটে নিয়ে সেগুলো বালির মধ্যে লাগিয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি দিই। এভাবে কঞ্চি থেকে নতুন করে গাছ বের না হওয়া পর্যন্ত পানি দিতে হয়।

এরপর ওই কঞ্চি থেকে নতুন করে বাঁশের গাছ বের হলে তখন আলাদা মাটির সঙ্গে বিভিন্ন জৈব সারসহ অন্যান্য খাবার মিশিয়ে পলিথিনের মধ্যে ওই মাটি ভরে তার মধ্যে নতুন গাছ বের হওয়া কঞ্চিটির অংশ নতুন করে রোপন করে নার্সারিতে সারি করে রেখে পানি সেচ দেওয়াসহ যতœ নেওয়া হয়।

এভাবে ৪মাস পর ওই কঞ্চি থেকে আরো নতুন নতুন বাঁশের গাছ বের হওয়ার পর তা অন্য স্থানে রোপন করার যোগ্য হয়ে ওঠে। এরপর ৩ থেকে ৪ বছর পর ওই কঞ্চি থেকে তৈরি হওয়া বাঁশ ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে। কঞ্চি থেকে যে বাঁশগুলো বের হয় সেগুলো বাঁশের কোড়ল থেকে বের হওয়া বাঁশের চেয়ে অনেক উন্নত মানের।

তাই পুরাতন পদ্ধতিতে পড়ে না থেকে যে কেউ এই বাঁশের চারা সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক ভাবে পরিকল্পিত বাঁশের বাগান তৈরি করে অল্প সময়ে বাঁশ বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন। বর্তমানে এই নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। আমি আশাবাদি এক সময় কঞ্চি থেকে তৈরি এই বাঁশের চারা এলাকার মানুষের কাছে খুব সাড়া জাগাবে।

দর্শনার্থী সাহেব আলী জানান, আমি এই প্রথম দেখলাম যে বাঁশের কঞ্চি থেকেই আবার উন্নত মানের বাঁশের চারা তৈরি করা হচ্ছে। সত্যিই বিষয়টি খুব বিস্ময়কর। আমি এই নার্সারী থেকে কয়েকটি বাঁশের চারা সংগ্রহ করলাম। এই চারা দিয়ে প্রথমে ছোট করে হলেও আমি একটি বাণিজ্যিক ভাবে বাঁশের বাগান তৈরি করবো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর