মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সফল বিদেশফেরত সোহেল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন বিদেশফেরত সোহেল। তরমুজ চাষে তার সফলতার খবর এখন এলাকার সবার মুখে মুখে।

স্থানীয়রা জানান, মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষের খবরের আগে এলাকার অনেকেই জানতেন না। সোহেল  ইউটিউব থেকে ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন রকম তথ্য নিয়ে বাড়ির পাশে প্রায় ৫৫ শতক জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষ্মীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুল মালেকের ছেলে সোহেল। সোহেল সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশে গিয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন না করতে পেরে পুনরায় দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে  বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। এতে সাফল্যও পান। সম্প্রতি মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়ে দেন। এলাকার লোকের কাছে সোহেল এখন একজন সফল ও স্বাবলম্বী কৃষক।

সোহেল বলেন, বাঙালি কৃষিনির্ভর জাতি। সেই সূত্রে আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। প্রিয়জনদের ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে কাটিয়েছি অর্থ উপার্জনের আশায়। তেমন কোনো ভালো ফল না পেয়ে অবশেষে দেশে ফিরে আসি। প্রথমে স্বল্পপরিসরে শাকসবজির আবাদ শুরু করি। চাষে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমি বন্ধক নিয়ে দিন দিন সবজি আবাদের পরিসর বৃদ্ধি করি।

তিনি বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে জমি তৈরি করেছি। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে বৃষ্টিতে ফসলের তেমন সমস্যা হয় না। এ বছর প্রথম তরমুজ চাষে আগ্রহী হই। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৫৫ শতকের মধ্যে তরমুজ চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালোই হয়েছে, তবে প্রথমবার তরমুজ চাষ করেছি বলে আশানুরূপ সাফল্য পাইনি, আগামী বছর নিশ্চয় পুরোপুরি সাফল্য পাব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর