বাংলাদেশে সয়াবিন চাষ পদ্ধতি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশে সয়াবিন চাষ পদ্ধতি ১ নাম্বার পদ্ধতিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবার বাংলাদেশে সয়াবিন চাষ পদ্ধতি -পর্ব ২ নিয়ে আলোচনা করা যাক:-

বীজ বপনের এক মাস পর আগাছা দমন করতে হবে । গাছ খুব ঘন হলে পাতলা করে নিতে হবে। প্রতি বর্গমিটারে রবি মৌসুমের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০টি ও খরিপ মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০টি গাছ রাখা উত্তম।

ফলন: একর প্রতি ২২-৩৩ মন একর। সয়াবিন পরিপক্ক হলে গাছের পাতা ঝরে যাবে, তখন গাছ কেটে ফসল সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যাবে। সংগ্রহের পর তিন থেকে চার দিন ভালোভাবে রোদে শুকানোর পর লাঠি দিয়ে হালকাভাবে পেটালে সয়াবিনের গাছ থেকে দানা আলগা হয়ে পড়বে।

মাড়াই হয়ে গেলে আবারও রোদে শুকিয়ে গ্রেডিং করে গুদামজাত করতে হবে। তবে গুদামজাতের আগে সয়াবিনের দানা থেকে মাটি, খড়, ময়লা প্রভৃতি বেছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। গুদামজাত করার পর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে বাতাস না ঢোকে। তা না হলে পণ্যের উজ্জ্বল রঙ ও আকার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ব্যবহার: আমাদের দেশে তেল উৎপাদন হয় না,। অনেকে পিঠা বানায়,ডাল রান্না করে খায়।পোল্ট্রী খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।এটা সিংহভাগ ব্যবহিত হয় ঢাকার সাভারে । ঐখানে ব্যবসায়ী এবং খামারীরা মূলত গ্রাহক।

সতর্কতা : অল্প চাষে বাজার জাতে সমস্যা হবে। নতুন হিসেবে করতে পারেন। তবে আমাদের দেশের জন্য নতুন কিছু নয়।প্রায় ২০-৩০ বছর আগ থেকেই চাষ হচ্ছে।

বাংলাদেশে সয়াবিন চাষ পদ্ধতি -পর্ব ২ লিখেছেন মেহেরাব হোসাইন, সদর নোয়াখালী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর