তিস্তা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র’র বালুচরে টমেটোর সমারোহ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাইবান্ধার বিরান বালুচরে টমেটো চাষ সফলতার মুখ দেখছে চরের নারীরা। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বালুচরে ব্যাপকভাবে টমেটোর চাষ হচ্ছে।

এসব টমেটো দেখতে যেমন চোখে ধরার মতো, তেমনই সুস্বাদু ও আকারে বড় হওয়ার বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। এবারই প্রথম টমেটো চাষ করে বেশ লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। পাশাপাশি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন বালুচরে টমেটো চাষে।

কেরোসিন, সোয়াবিন আর লবন কিনতে চর থেকে শহরে আসতে হয় চরের মানুষকে। তাছাড়া চরে সবই পাওয়া যায়।

চর মোল্লারচরের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, চরে দরিদ্র নারী হনুফা, সালমা, মর্জিনা, মমতাজ, বেলারানীসহ শতাধিক নারী টমেটোর জমিতে কাজ করছেন। তাতে তাদের পরিবারে আয়ের পরিমান বাড়ছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ন বলেন, সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর বালুচর থেকে শুরু করে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর ১৬৫ টি চরে এখন নানান জাতের ফসল। আগে শুধু মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা ও মরিচের আবাদ ভালো হতো চরে। এখন অন্য ফসলের সাথে ব্যাপক হারে সবজির চাষ হয়েছে। চরের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে টমেটোর চাষ।

পল্লী উন্নয়ন একাডেমির যুগ্ম পরিচালক  বলেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সহযোগিতায় মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর দি চর-এই প্রকল্পের আওতায় চরচাষিদের সংগঠিত করে বীজ সরবাহের মাধ্যমে এবার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। লাল ও সবুজ টসটসে টমেটো চরবাসীর ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে মহাপরিচালক জানান, চরে অনেক সবজি চাষ হয় কিন্তু তারা বাজার পায়না। ফলে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মূল্য পায়না। আমরা চরবাসীর উৎপাদিত টমেটোসহ সবজি বাজার সৃষ্টি করতে উৎসাহিত করছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর