কয়েকদিন ধরে রাত হলেই শোনা যাচ্ছে বাঘের গর্জন, আতঙ্কে কয়েক হাজার মানুষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঘ-আতঙ্কে রয়েছেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। কয়েকদিন ধরে রাত হলেই শোনা যাচ্ছে বাঘের গর্জন। এজন্য রাতেও ঘুমাচ্ছেন না বাসিন্দারা।

সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারি এলাকার বাসিন্দা। তিনি  বলেন, ‘আমার বাড়ি সুন্দরবনের খুব কাছে। কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন রাতে একটি বাঘ খুব গর্জন করে। ফলে সারারাত পরিবার-পরিজন নিয়ে ভয়ে থাকি। কখন না জানি বাঘ এসে আমাদের আক্রমণ করে বসে এ ভয়ে থাকি।’

হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি সুন্দরবনের খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। তবে কয়েকদিন ধরে বাঘের ভয়ে মাছ ধরতে যেতে পারছি না। এজন্য সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর শীতের সময় সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের লোকালয়ের কাছে চলে আসে বাঘ। কখনো কখনো পশু ও মানুষের ওপর হামলা চালায়। সুন্দরবন ও এই দুটি ইউনিয়ন পাশাপাশি হওয়ায় শীতের এ মৌসুমে প্রতি বছরই আতঙ্কে কাটাতে হয় তাদের।

চিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বলেন, ‘সুন্দরবনের কোলঘেঁষে আমার ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষই হতদরিদ্র। তাদের জীবন-জীবিকা সুন্দরবনের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট। তবে প্রতি বছরই এসময় বাঘের উপদ্রপ বাড়ে। এসময় আতঙ্কে থাকে মানুষ।’

তিনি বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন খরমা নদীটি খনন করে যদি বেড়িবাঁধ দিয়ে লাইটপোস্ট বসানো হয় তাহলে বাঘ আর লোকালয়ে ঢুকতে পারবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এ চেয়ারম্যান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর