লঞ্চ তদারকিতে ৫ কমিটি, অনিয়মে শাস্তি পেল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রীবাহী লঞ্চ তদারকি করার জন্য পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

সংস্থাটির পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিআইডব্লিউটিএ থেকে জারি করা হয় এ সংক্রান্ত দপ্তর আদেশ।

কমিটির প্রধানরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বওপ) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, পরিচালক (সওপ) মো. শাহজাহান, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকৌশল বিভাগ) মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান প্রকৌশলী (এমএমই বিভাগ) মো. আতাহার আলী সরদার।

কমিটিগুলোকে লঞ্চ পরিদর্শন করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করা ও এসব ত্রুটি নিরসনে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।

পর্যায়ক্রমে কমিটিগুলো প্রতি সপ্তাহে দুইদিন সদরঘাট পরিদর্শন করবে জানিয়ে দপ্তর আদেশে বলা হয়, লঞ্চ পরিদর্শনের সময়ে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও কমিটির সঙ্গে থাকবেন। সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের সাধারণ ও কারিগরি দিক পর্যবেক্ষণ করবে এসব কমিটি। এসময় যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ত্রুটি পেলে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করবে। এছাড়া অনিয়ম ও গাফিলতি পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায়ীদের সাজা দেবেন।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনা ঘটে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৮ জন।

লঞ্চে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দুইজন ইনচার্জ মাস্টার, সুকানি, দুইজন ইঞ্জিনচালক ও লঞ্চের গ্রিজারকে (চালকের সহকারী) সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর