বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ খুলনা মহানগরীতে মহুয়া খাতুন (২২) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজসেন অ্যান্ড টেকনোলজির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

মহুয়া বাগেরহাট সদর থানা এলাকার শাহাদাত হোসেনের মেয়ে। খালিশপুরে নানি চায়না বেগমের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন।

খালিশপুর থানার এসআই মো. শওকত আলী বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তার শরীরে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরাতহাল রির্পোট তৈরি করে মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলাও হয়েছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মৃত্যুর সময় মহুয়া একটি নোট লিখে গিয়েছেন। তাতে পরিবারের এক সদস্যের প্রতি ঘৃণার কথা লিখেছেন। এছাড়া তার মৃতমুখ না দেখার জন্যও সেই সদস্যকে নিষেধ করেছেন সুইসাইড নোটে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর পর তার হাত ও পায়ের নখ কিছুটা নীল বর্ণ ধারণ করেছিল। এটা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ব্যাতীত পুলিশ কিছু বলতে রাজি হয়নি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছোট বেলায় মহুয়ার মা মারা যায়। কিছুদিন পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তিনি নানির সঙ্গে খুলনায় বসবাস করে আসছেন। এখানেই বড় হয়েছেন। আত্মহত্যার সময় তার নানি চায়না বেগম বাড়িতে ছিলেন না।

তার এক নিকট আত্মীয় জানিয়েছেন, সম্প্রতি কিছুটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন মহুয়া। এক পর্যায়ে মহুয়া মাদকে আসক্ত হয়ে পড়লে পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

তার সহপাঠীরা বলেন, ‘মহুয়া তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটা অংকের বেতন বকেয়া থাকার কারণে হয়তো সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘বেতন বকেয়া থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়। কী কারণে মহুয়া পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তা বলা সম্ভব নয়।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর