নিহতের বড় ছেলে মাহফুজুল করিম জানান, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বাবা একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি কৃষিকাজ করতেন। শনিবার বিকালে তিনি বাড়ি থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তুু রাতে বাড়িতে না ফেরায় আমরা উনাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সকালে হঠাৎ এলাকাবাসী খবর দেয় যে, আমার বাবার লাশ নৈহাটি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের নানার পরিত্যক্ত পুরাতন বাড়ির একটি জঙ্গলে পড়ে আছে। তখন আমরা সেখানে গিয়ে বাবার লাশ দেখতে পাই। আমার বাবার সাথে কারো শত্রুতা ছিল কি না জানি না। কেউ তাকে হত্যা করে এখানে লাশ ফেলে রেখেছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি চাই।
স্থানীয় কয়েকজন পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, আমরা হক্কু মিয়াকে শনিবার রাতে ও আজ রোববার সকালে খোঁজাখুঁজি করি। এক পর্যায়ে নৈহাটি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের পুরাতন বাড়ির জঙ্গলে একটি পুকুরের পাড়ে তার লাশ মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই। ধারণা করা হচ্ছে যে, কাছাকাছি কোন জায়গায় হক্কু মিয়াকে কেউ খুন করে লাশ টেনে এনে এই পুকুর পাড়ে ফেলে রেখেছে। পরে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেই। তখন তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ নিয়ে যায়। এই জঙ্গলে জোয়ার আড্ডা বসে বলেও শোনা যায়। এ ব্যাপারে কেউ মুখ খোলে না।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান,খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এবং আব্দুল ওয়াহাব হক্কু মিয়ার লাশ উদ্ধার করি। লাশের সুরতে হাল শেষে ময়নাতদন্তেরর জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।