রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগঃ প্রতিবাদে মানববন্ধন মাশায়েখ ঐক্যের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, জামাত-জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ বিরোধী রাজারবাগ দরবার শরীফকে নিয়ে অব্যাহত মিডিয়া ক্যুর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্ট এবং সিআইডির ভুল তদন্ত প্রত্যাখান করে

এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে
বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ ঐক্য পরিষদের
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন।

শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ ঐক্য পরিষদ।

মানববন্ধনে মিরপুরের মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব মুফতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা বাতাকান্দি দরবার শরিফের পীর আল্লামা শায়খ খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী, ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটের সভাপতি মুফতি মাঃ আব্দুল হালিম সিরাজী, আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওঃ আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী, সহ দপ্তর সম্পাদক মাওঃ আব্দুস সবুর মিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুস সাত্তার, গাজীপুর কাদেরিয়া দরবার শরিফের পীর হাবিবুর রহমান, হাক্কানী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

সূচনা বক্তব্যে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের প্রধান মুয়াজ্জিন আলহাজ্জ্ব মাওলানা ক্বারী কাজী মাসউদুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পীর আউলিয়ার বংশধর। পীর সাহেবদের কারণেই বাংলাদেশে ইসলাম এসেছে এবং এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। কাজেই যারা পীর সাহেবদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, পীরের কারামতি দেখেন বলে বিষেদগার করে এবং পীর সিন্ডিকেট বলে নিউজ করে তারা এদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া ক্যু চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত। কারণ রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব ১৯৭১ সালে ছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা করেছেন। উনার আপন ভাই ও চাচাতো ভাইরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। পীর সাহেবের মেজ ভাই হাফিজুর রহমান হারুণ সেক্টর-২ এর অধীনে ক্র্যাক প্ল্যাটুনের একজন গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি যেন জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথো ব্যবস্থা নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা বাতাকান্দি রহমাতুল্লিল আলামীন দরবার শরীফের পীর আল্লামা শায়খ খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী বলেন, গত ১৬ নভেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠের লিড নিউজে বলা হয়েছে- আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০০১-এর আদলে প্রশাসন সাজাতে উঠে পড়ে লেগেছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক জোট। চলতি বছর ১১ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সূত্র জানায়, সচিবদের ফিটলিস্ট তৈরি করতে সাভার পিএটিসিতে পছন্দের কর্মকর্তাদের ডেকে গোপন সাক্ষাতকার নেয়া হয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২৪ জনের এই তালিকায় মাত্র চার কর্মকর্তা সরকারপন্থী এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্য। বাকিদের মধ্যে জামাত-বিএনপিপন্থী ১৫ কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

কুমিল্লা পাতাকান্দি রহমাতুল্লিল আলামীন দরবারের পীর সাহেব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আল্লামা শায়খ খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে জামাত তার সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। সে কারনে এখন থেকেই জামাত রাজারবাগ শরীফসহ হক্ব পীর সাহেবদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী প্রখ্যাত পীর সাহেব, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের পীর সাহেবের বিরুদ্ধে জামাত প্রভাবিত সিন্ডিকেট যেভাবে মিডিয়া ক্যু করছে তা গভীর নিন্দার এবং চরম প্রতিবাদের। জামাত যাতে সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র করে হক্ব পীর সাহেবদের সুনাম ক্ষুন্ন করে তাদের ফাঁদ বিস্তার করতে না পারে এজন্য সরকারকে এখনই বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ধর্ম সম্পাদক আলহাজ্জ্ব মাও: খলীলুর রহমান সরদার বলেন, জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফ- রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে মিডিয়া ক্যু করে দেশের কোটি কোটি ভক্ত-সমর্থক, শ্রদ্ধাভাজনদের হৃদয় থেকে তাকে দূরে সরানো যাবেনা।
বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটের সভাপতি মুফতী মাও: আব্দুল হালিম সিরাজী বলেন, মিডিয়াতে ‘তাকিয়াভিত্তিক’ কাজ করছে জামাত শিবির চক্র। তাকিয়া পদ্ধতি মুলত জামাত শিবিরের একটি সাংগঠনিক পন্থা। এই পদ্ধতিতে ভিন্ন দলের মাঝে বিশেষ করে তাদের বিপরীত মতাদর্শ অন্যদলের অঙ্গ সংগঠনে ঢুকে জামাত শিবির নিজেদের রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধি করে। বিভিন্ন প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠানে এদের অবস্থান বেশ পাকাপোক্ত। যেমন- বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকাতে ‘তাকিয়া’ ভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছে এরা। ঠিক এ রকম পাকাপোক্ত হওয়ার কারণে এরা বড় ধরনের সামাজিক আন্দোলন করতে চায় এবং এটাই স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির মূল লক্ষ্য। আর পাশাপাশি তাদের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য যে ফাঁসি দেয়া হয়েছে সেটার প্রত্যক্ষ প্রতিশোধ নেয়া। কোটাপ্রথাবিরোধী আন্দোলনের প্রক্রিয়াটা হলো তাদের একটি প্রাথমিক এক্সপেরিমেন্ট। যেটার ধারাবাহিতা কোন এক সময় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়া এবং মওদুদীবাদ প্রতিষ্ঠা করা।

মুফতী মাও: আব্দুল হালিম সিরাজী আরো বলেন, সম্প্রতি দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনে নিউজ হেডিং হয়েছে, “তিনভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করে চলেছে জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা। নিউজে বলা হয়েছে, জামাত ও শিবিরের যেসব নেতাকর্মী সাংবাদিকতায় রয়েছে তাদের প্রতি একটি বাড়তি নির্দেশ রয়েছে জামাতের তা হলো- ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গভীরভাবে বিশ্বাসী তাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচারমূলক রিপোর্ট করা।”

মুফতী মাও: আব্দুল হালিম সিরাজী বলেন, মিডিয়ায় অনুপ্রবেশ করা এসব জামাতী রিপোর্টাররাই রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে অব্যাহত মিডিয়া ক্যু চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী তারা হাইকোর্ট এবং আইনমন্ত্রীর নামেও রাজারবাগ শরীফকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করে মিডিয়া ক্যু করে যাচ্ছে। এনটিভি, সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় গত ৫ অক্টোবর নিউজ হেডিং করা হয়েছে, ‘রাজারবাগ পীরের সব আস্তানা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের’। অথচ বাস্তবিকপক্ষে এরকম কোনো নির্দেশই দেয়নি হাইকোর্ট। একইভাবে তারা গত ১০ অক্টোবর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে আইনমন্ত্রীর এক অনুষ্ঠানের বরাত দিয়ে রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে যে, ‘রাজারবাগ পীরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারী আইনমন্ত্রীর’। অথচ এই নিউজের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে আইনমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি রাজারবাগ শরীফ নিয়ে এরকম কোনো বক্তব্য দেননি। মুফতি সিরাজী বলেন, কোথাও নিউজ হচ্ছে ৪৯ মামলা, কোথাও ৮০০ মামলা। কোথাও ৭ হাজার একর, কোথাও নিউজ হচ্ছে ৬ হাজার একর, কোথাও ৩ হাজার একর, আবার কোথাওবা ১ হাজার একর জমি দখল। মূলত এসব তথ্য বৈপরীত্যই প্রমান করে যে, এসবই জঙ্গী জামাতবিরোধী শতভাগ সুন্নতী আমলের হক্ব দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিডিয়া ক্যু।

মুফতি সিরাজী বলেন, ৭ হাজার একর জমি দখল, জমি দখলের জন্য মিথ্যা মামলা, মামলাবাজ সিন্ডিকেট এগুলো সবই জামাতী মদদপুষ্ট হলুদ সাংবাদিকতা। জামাত জঙ্গীবাদবিরোধী এবং একশত ভাগ সুন্নতী আমলের দরবার শরীফ, রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ালেই এর পেছনে কুট-উদ্দেশ্য রয়েছে।
মুফতি সিরাজী বলেন, গ্রামের বাড়িতে কিছু কৃষি জমি ছাড়া পীর সাহেবের নিজের নামে কোনো সম্পত্তি নেই। পৈতৃকসুত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সিংহভাগ তিনি মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন। এমনকি গ্রামের কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসলও ব্যবহৃত হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য।
কাঞ্চনপুর দরবারের হাফেজ আব্দুল জলীল বলেন, আমি গত ১০ বছর যাবত প্রখ্যাত জঙ্গীবাদ জামাতবিরোধী নূরানী দরবার শরীফ- রাজারবাগ দরবার শরীফ যাতায়াত করছি। এমন হক দরবার শরীফ সম্পর্কে সি.আই.ডির মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কিভাবে মিথ্যা রিপোর্ট দিতে পারলো তা ভাবতেও অবাক লাগে। সি.আই.ডি রিপোর্ট দিয়েছে, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতাংশ জমির উপর তিনতলা বাড়ি দখলের জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতক জায়গায় কোনো বাড়িও নেই এবং কোনো ৩ তলা বিল্ডিংও নেই। এরূপ মিথ্যা তথ্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সি.আই.ডি কি করে হাইকোর্টে প্রেরণ করতে পারলো এটা তদন্তের জন্য আমরা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

টাঙ্গাইলে পীর আখতার হোসাইন বুখারী সাহেব বলেন, রাজারবাগ শরীফের পীর সাহেব ক্বিবলা জামাত জঙ্গীবাদবিরোধী অনন্য পীর সাহেব। উনার কাছে আমি যত যাই ততই মুগ্ধ হই। উনি কারো দ্বারা মামলা করিয়েছেন- এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা। আর ৪৯ বা ৮০০ মিথ্যা মামলা যদি হয়ে থাকে সেটা খোদ প্রশাসনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে, থানা পুলিশই মামলা নেয়। তারা যাতে মিথ্যা মামলা না নেয় সেজন্য প্রশাসনকেই ঢেলে সাজাতে হবে। কাজেই রাজারবাগের পীর সাহেবের মিথ্যা সমালোচনা না করে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা জামাতীদের চিহিৃত করে প্রত্যাহার করতে হবে।
সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার বাড়ি বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায়। আমি কুখ্যাত কাঞ্চনের আদ্যোপান্ত সবই জানি। সে এমন কুলাঙ্গার সন্তান যে, সে তার মাকে হত্যা করতে গিয়েছিলো। সে তার মায়ের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়েছে। তার মাও তার বিরুদ্ধে ২টি মামলা দিয়েছে। তাদের পারিবারিক মামলার সংখ্যাই ১৫টির মত। এছাড়া কাঞ্চন ১৯৮৮ সালে স্থানীয় কমিশনার সেকেন্দারের ভাইকেও হত্যা মামলার আসামী। সে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। তার পারিবারিক ও রাজনৈতিক মামলাকে কুটকৌশলে রাজারবাগ শরীফের উপর চাপিয়ে দিয়ে জামাতী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে ১৯৯০ সালে জামাতকে চ্যালেঞ্জ করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বই লেখা হয়েছে। দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানে জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ, জামাত হেফাজত সম্পর্কে ১৯৯১ সাল থেকে ক্ষুরধার লেখনী চালানো হচ্ছে। আজকে সে রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে জঙ্গীবাদের মিথ্যা তোহমত দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

হাক্কানী তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী আহমদুর রহমান সাহেব বলেন, রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটাই বর্তমান পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কারণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্টে কোথাও রাজারবাগ শরীফের কোনো বক্তব্য নেই, রাজারবাগ শরীফের সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি এবং কোনো জিজ্ঞাসাও করা হয়নি, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মিরপুরস্থ মুহাম্মাদীয়া দরবারের পীর সাহেব আল্লামা মুজিবুর রহমান খান আল মাদানী বলেন, বর্তমান যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ ও সুমহান ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে জামাতী এজেন্টরা কি পরিমাণ মিডিয়া ক্যু করে যাচ্ছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো, শতভাগ শরীয়তের আমলকারী রাজারবাগের পীর সাহেব ক্বিবলা তিনি ছবি তুলেন না। আজ পর্যন্ত উনার একটি ছবিও নেই। অথচ এখানে কুতুববাগী অথবা অন্য কারো ছবি দেখিয়ে তাকে রাজারবাগের পীর সাহেব হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
সভাপতি বলেন, এদেশের মানুষ পীর আউলিয়া ভক্ত। কাজেই জঙ্গীবাদ-জামাত-মৌলবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফের বিরুদ্ধে মিডিয়া ক্যু ও প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রে দেশের পীর সাহেবরা বসে থাকবেনা। ত্বরীকতপন্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিষ্ক্রিয় থাকবেনা।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, চরনপুর দরবারের পীর ছাহেব মাও: আ: সালাম, কাঠালিয়া সুন্নিয়া দরবারের পীর ছাহেব আল্লামা মুফতি আলতাফ হোসাইন জামী, বাংলাদেশ ওলামা লীগের সেক্রেটারী আলহাজ্জ্ব মাও: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাও: আ: সাত্তার, গোপালগঞ্জ দরবারের পীর ছাহেব আল্লামা শোয়াইব আহমদ, টাঙ্গাইলের পীর ছাহেব বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা আখতার হোসাইন বুখারী, নীলফামারী দরবারের পীর ছাহেব আল্লামা নূর মোহাম্মদ আহাদ আলী সরকার, কাঞ্চনপুর দরবারের হাফেজ মাও: আ: জলীল, ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট সা: সম্পাদক অধ্যাপক মাও: আখতারুজ্জামান, রানীপুরা দরবারের আ: সবুর, করটিয়া দরবারের আলহাজ্ব মাও: মুহাম্মদ শওকত আলী শেখ সিলিমপুরী, আল্লামা ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান, আওয়ামী যুবলীগের ধর্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মাও: খলীলুর রহমান সরদার, ওলামা মাশায়েখ যুগ্ম সম্পাদক মুফতি আল আমীন সহ শতাধিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দরবারের ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর