স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, বিচার চাইতে ভয় পাচ্ছেন ভ্যানচালক বাবা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের একজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই বিষয়ে বিচার চাইতেও সাহস পাচ্ছেন না সেই স্কুল ছাত্রীর ভ্যানচালক পিতা।

জানা যায়, শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বাড়ীতে একা পেয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে রফিকুল। স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় রফিকুল। উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনার পর স্কুলছাত্রীর বাবা আইনি সহায়তা পেতে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ থানায় আসতে বলে স্কুলছাত্রীর বাবাকে। এর পর পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিলেও আর মামলা করতে পারেনি অসহায় পিতা। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় প্রভাবশালীদের চাপে মীমাংসায় বসেন স্কুলছাত্রীর বাবা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার অঙ্গীকার করে মীমাংসা করার চাপ দেন রফিকুলের লোকজন। এতে কিছুটা ভয় পেয়ে মীমাংসা শেষ করে চলে জান মেয়ের বাবা। কিন্তু এর পর থেকে আবারো সেই স্কুল ছাত্রীকে বিরক্ত করতে থাকেন রফিকুল।

মেয়ের বাবার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি ধর্ষণচেষ্টার সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলেন। তুলে ধরেন নিজের অসহায়ত্বের কথা। পুলিশে অভিযোগ করার পরামর্শ দিতেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। তিনি বলেন, ‘বাবা গরীবের কি বিচার চাওয় কোনো অধিকার আছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাদের আরও ক্ষতি করবে। আমার তিনটা মেয়ে। ওদের (রফিকুলদের) সাথে লাগলে অন্য মেয়েদেরও ক্ষতির হুমকি দিছে।’

মীমাংসায় দিন উপস্থিত থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য রজব আলী জানান, স্কুলছাত্রীকে ও বাবার মুখে ঘটনাটি শোনার পর এলাকায় গিয়েছিলাম। অনেকের সামনেই রফিকুল অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় স্কুলছাত্রীর বাবা ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছে। দোষী রফিকুল হলেও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে স্কুল ছাত্রীর বাবাকে। তাই আমরাও তেমন কিছু করতে পারছি না।

বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, স্কুলছাত্রী ও তার বাবার সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর