ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হাসপাতালে কিশোরীর মৃত্যু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার একটি পোশাক কারখানার কিশোরী শ্রমিককে (১৭) অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় এনে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। মেঘনা শিল্পাঞ্চলের বেপারীবাজারসংলগ্ন তৈয়ব হোসেনের ভাড়া বাড়িতে গত সোমবার রাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তৈয়ব এবং তাঁর দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার তৈয়ব হোসেন (২১) উপজেলার মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ কম্পানির শ্রমিক এবং কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের উত্তর বায়েরা গ্রামের জালাল আহমেদের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন তৈয়বের বন্ধু হাসান (২৩) ও আমজাদ হোসেন রায়হান (২০)। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা আদালতে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা গতকাল বিকেলে সোনারগাঁ থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনির এক ভাড়াটিয়ার মেয়ে।

মামলার এজাহার ও বাদী সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে গার্মেন্ট ছুটির পর কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি জিডি করেন কিশোরীর মা। পরে জানতে পারেন যে তাঁর মেয়েকে তৈয়ব, তাঁর বন্ধু মামুন (১৯), হাসান ও আমজাদ অপহরণ করে সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নিউ টাউন এলাকার বেপারীবাজারসংলগ্ন জনৈক সাগর প্রধানের ভাড়া বাড়িতে আটকে রেখেছেন। ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তৈয়ব ও তাঁর বন্ধুরা কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় কে বা কারা ৯৯৯-এ ফোন দিলে সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেন এবং সাগরের বাড়ি থেকে তৈয়ব, হাসান ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করে।

কিশোরীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে গার্মেন্টের বেতন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৈয়ব ও তার বন্ধুরা অপহরণ করে সোনারগাঁ এনে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি সন্তান হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত তৈয়ব হোসেন জানান, কিশোরীর সঙ্গে দুই বছর ধরে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁরা ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে সোনারগাঁয় আসেন। ১০ অক্টোবর তাঁরা মেঘনা নিউ টাউন এলাকায় বিয়ে করেন। বিয়ের সাক্ষী হিসেবে হাসান ও রায়হান স্বাক্ষর করেন। বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক করলে কিশোরীর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে মা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরীর মৃত্যু হয়।

সোনারগাঁ থানার থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার শুনানি হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর