রোপা আমন চাষির কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমের রোপা আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহারেও এসব পোকা দমন করা যাচ্ছে না। ফলে কৃষকের কপালে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ঐ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১২ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর হাইব্রিড, ৫ হাজার ৫৫২ হেক্টর উফশী ও ৪০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বকশীগঞ্জের ৪টি ইউনিয়নে বন্যা হয়। এতে ৪ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে পানি নেমে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত সাধুরপাড়া, বগারচর, মেরুরচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলের পাড় গ্রামের কৃষক লালচাঁন মিয়া জানান, এ বছর পোকার আক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বালাইনাশক ব্যবহার করলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিন দিয়ে ক্ষেতে পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে। ফলন ভালো না হলে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হবে।

কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা পোকার আক্রমণ থেকে রোপা আমন ধান রক্ষা করতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ জানান, কৃষকরা একটু সচেতন হলেই মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো রোগ দমন সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর