আউশের পর আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়নি সিলেট। প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব হয়নি নিয়ন্ত্রণহীন। সেকারণে সিলেটে রোপা আমন ধান চাষে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যেই আমন ধান চাষে বীজতলার যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা ছাড়িয়ে গেছে। জমি আবাদেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে ফসল উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়তে পারে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর বন্যা না হওয়ায় এবং আবহাওয়া উপযোগী থাকায় নতুন আশা দেখা দিয়েছে আমন ধানের ফলনে। সিলেট কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী বলেছেন, বন্যাপ্রবণ অঞ্চল সিলেট। বন্যার কারণে আমন ধানের আবাদে বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়েন কৃষকরা। কিন্তু এবার আমন চাষ উপযোগী আবহাওয়া পেছেন কৃষকরা। যদি পোকার আক্রমণ না হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হয়, তবে অনেক বেশি হতে পারে উৎপাদন। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ বছর উফশী জাতের ২ দশমিক ৭৪ এবং স্থানীয় জাতের ১ দশমিক ৩৭ গড় ফলনে বিভাগে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৪ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।
সিলেট কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্র মতে, এ বছর আমনের ২০ হাজার ৯৬৪ হেক্টর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সিলেট বিভাগে। ইতোমধ্যেই ২২ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করছেন কৃষকরা। এই পরিসংখ্যান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। বিভাগের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে সিলেট। একইসঙ্গে সুনামগঞ্জে ২২৩ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ২৩১ হেক্টর ও ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন হবিগঞ্জের কৃষকরা।
সিলেট বিভাগে এ বছর রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ লাখ হেক্টর। গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমি। এর পরিমান লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ ভাগ। সামনের দিনগুলোতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি জমিতে আমন আবাদ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।
সিলেট কৃষি বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সরকার বলেন, গত বছর তিন দফার বন্যায় কৃষকরা বীজতলা তৈরী করতে পারেননি ঠিকমতো। এবার অনুক‚ল আবহাওয়া থাকায় আউশ ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে মনোযোগী হয়েছেন আমন চাষে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হবে আমন।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর