কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১ লাখ মানুষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও পশু খাদ্যের চরম সংকট।

জানা গেছে, ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বন্যার পানি ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে কারণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী, বন্দবেড়, যাদুরচর ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ ও রাজীবপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৪৫টি গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার ও পশু খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে বন্যা কবলিত মানুষ গুলোর মধ্যে।

কুড়িগ্রামে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১ লাখ মানুষ

বাইটকামারী গ্রামের হেলাল, জহির, আব্দুর রহমান বলেন, আমাগো বাড়ি বাঁধের ভিতরে থাকলেও সরকারিভাবে সুইসগেট বন্ধ না করায় আমাগো সব ধান তলায়া গেছে, আমরা বার বার অভিযোগ করেও সুইসগেট বন্ধ করতে পারি নাই, বাঁধের ভিতরের হাজার হাজার একর ধান ক্ষেত বন্যার পানিতে তলায়ে গেছে।

ফলুয়ারচর গ্রামের ওসমান আলী, জাইদুল ইসলাম, ছবুর মিয়া,আতাউর মিয়া বলেন, বন্যার পানি বাড়ায় আমাগো ঘর বাড়ি তলায়া গেছে গরু বাছুর পোলাপান নিয়া আমরা রাস্তার উপর আশ্রয় নিছি, কোন কাজ কাম নাই। খাইয়া না খাইয়া দিন যাইতেছে আমাগো। আমরা সব সময় চিন্তায় থাকি নদীর কাছে আমাগো বাড়ি কোনসুম যে বাড়ি ঘর ভাঙ্গা নদীতে নিয়া যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রৌমারী উপজেলায় এক লক্ষ টাকা, ২৫ টন জিআর এর চাউল ও রাজিবপুর পঞ্চশ হাজার টাকা, ১৫ টন জি আর এর চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আল ইমরান বলেন, বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোন বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি, তবে হটলাইন ৩৩৩-এ ফোন দিলে আমরা খাবার তার বাড়িতে পৌছিয়ে দেই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর