হাওর বার্তা ডেস্কঃ আষাঢ়ের টানা বর্ষণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আর শিবগঞ্জে পদ্মায় আর মহানন্দায় পানি বেড়েই চলেছে। ফলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে অন্তত ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ১৬৭ হেক্টর আউশ ধান আর ১২ হেক্টর শাকসবজি, ৩ হেক্টর অনান্য ফসলসহ মোট ১৮২ হেক্টর জমিতে হওয়া ফসল ও শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাজাহানপুর, নারায়ণপুর, আলাতুলি, চড়বাগডাংগা আর শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর, পাকা ও উজিরপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও চড়বাগডাংগা। শিবগঞ্জের দূর্লভপুর আর পাকা ইউনিয়নে বেশি প্লাবিত হয়েছে।
তিনি জানান, ৫ গ্রামে কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোমিন শরীফ জানান, তার এলাকায় গত ৪ দিন থেকে পদ্মায় পানি বাড়ায় প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
দেবিনগর এলাকার সাদিরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষক জানান, তার এলাকায় মহানন্দার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি।
শাজাহানপুর এলাকার আ. সালাম নামের এক কৃষক জানান, তার ৩ বিঘা ধানি জমি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকাতে পানি বাড়ায় ৫-৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ১০ সেন্টিমিটার ও মহানন্দায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বর্তমানে পদ্মায় ২২ দশমিক ৬ মিটার ও মহানন্দায় ২০ দশমিক ৪৫ মিটার পানি রয়েছে। পদ্মায় ২২ দশমিক ৫০ মিটার ও মহানন্দায় ২১ দশমিক ৫০ মিটার বিপৎসীমা ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তবে মহানন্দা নদী তার বিপৎসীমা অতিক্রম করতে এখনও অনেক সময় লাগবে। এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়ন নিম্নাঞ্চল হওয়ায় পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।