ছবি এডিট করেই দর্জি মনির এখন ‘বড় নেতা’

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এলাকার লোকজনের কাছে পরিচিত দর্জি মনির হিসেবে। সে নিজেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সম্পাদক দাবি করে চেষ্টা করেন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ঘটাই । বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এডিট করা ছবি জুড়ে দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে জুড়ি নেই তার। অভিযুক্ত মনিরের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

নাম এমডি মনির খান। ফেসবুক প্রোফাইল নানা পরিচয়ে ঠাসা। তিনি নিজেকে ঢাকা-২ আসনের এমপি প্রার্থী পরিচয় দেন। বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারী তারেক রহমানের মামলার বাদী। বাংলার রূপসী গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি তিনি। সেই সঙ্গে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানও। নিজেকে তিনি দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ও ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও।
তার আরেক পরিচয় তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তৈরি করেছেন ওয়েবসাইট। সেখানেও তার বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের ছড়াছড়ি। যদিও এই সংগঠনের কোনো অনুমোদনই নেই।

রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিজের সুপার এডিট করা ছবি জুড়ে দিয়ে নিজেকে বড় নেতা হিসেবে দাবি করেন তিনি।

মনির খান একসময় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে একটি দর্জির দোকানে কাজ করতেন। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তিনি দর্জি মনির হিসেবেই পরিচিত।

জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ সর্ম্পকে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
গেল ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামের কোনো অনুমোদিত সংগঠন নেই বলে সতর্কবাতা দেন। যারা এ সংগঠনের হর্তাকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন তিনি।
মনির খানের বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, অনেক তথ্যই আমরা পেয়েছি। এগুলো খতিয়ে দেখছি।
মনির খানের মতো এমন হাইব্রিড নেতা এবং নাম সর্বস্ব ভুঁইফোড় সংগঠনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনের।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর