হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া দুই কিশোর–কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিসে সেই কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় সালিসে আসা ঐ চেয়ারম্যান নিজেই ওই কিশোরীকে (১৪) বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউপির বিবাহিত চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের (৬০) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সাথে একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নছিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নছিমনের বাবা নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান সেই মেয়ের বাবা।
চেয়ারম্যান শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিস বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নছিমনসহ দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস বৈঠকে মেয়ে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন জুম্মা নামাজের পর চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে এনে ৫ লাখ টাকা কাবিনে নছিমনকে বিয়ে করেন।
দুই সন্তানের জনক চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বড় ছেলে বিয়ে করেছেন স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের এক শ্যালিকাকে। এদিকে প্রেমিকাকে হারিয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রেমিক রমজান বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শাহিন হাওলাদারের ৬০ বছর বয়সে ১৬ বছর বয়সের এক কিশোরিকে বিয়ের ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহিন হাওলাদারের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছেন। এ ছাড়া আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল।’ কনের বয়স কম, তিনি বাল্য বিয়ে করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান শাহিন বলেন, ‘যাকে বিয়ে করেছি তার জন্ম তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৩ ইং। তিনি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তিন বছর হয় পড়াশুনা বাদ দিয়েছেন। বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত নন বরং আনন্দিত।