বানিয়াচংয়ে ৭ জনের হাত-পা বেঁধে টাকা-মোবাইল লুট

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কামালখানী ভারারা পুতা নামক স্থানে ডাকাতি হয়েছে। আট থেকে ১০ জনের ডাকাতদল শিক্ষকসহ সাতজনের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে তাদের বেঁধে ফেলে রেখে চলে যায়।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বানিয়াচং-কাদিরগঞ্জ সড়কে ডাকাতি হয়। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন আহত হয়েছেন।

ডাকাতির শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি বানিয়াচং থেকে বগি গ্রামে যাচ্ছিলেন। ভারারা পুতা নামক স্থানে পৌঁছলে ডাকাতরা ট্রলিটি থামিয়ে চালকের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা লুটে নিয়ে তাকে বেঁধে রাখে।

একইপথে বগি থেকে বানিয়াচং আসছিলেন চক বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও শাফু উল্লা। ভারারা পুতায় আসলে ডাকাতদল এ তিনজনকেও বেঁধে রেখে তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ হাজার ২০০ টাকা লুটে নেয়।

ডাকাতরা এ চারজনকে বেঁধে একটি ড্রেনের পাশে ফেলে রাখে এবং রাস্তা দিয়ে আরও তিনজন আসলে তাদেরও বেঁধে মারপিট করে সকলের মোবাইল ফোন এবং নগদ প্রায় ৭ হাজার টাকা লুটে নেয়। এ তিনজনের একজনকে কুপিয়ে আহত করে ডাকাতদল।

একজন মোবাইল ফোন বের করে দিতে দেরি করায় তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সকলকে বেঁধে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ডাকাতরা একজনের মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।

ডাকাতির শিকার শাফু উল্লার ভাই ওয়াহিদুল্লাহ জানান, তার ভাইসহ তিনজন বগি গ্রামে জানাজা পড়তে যান। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাদের খুঁজতে যান। ভারারা পুতার পাশে গিয়ে দেখেন ড্রেনের পাড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাতজন পড়ে আছেন। আহত একজনের মাথায় ৫টি সেলাই লেগেছে। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, যেখানে ডাকাতি হয়েছে ওই স্থানটি হাওরে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর