স্বামী-শাশুড়ির দেওয়া আগুনে ঝলসে গেলেন গৃহবধূ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় মোছা. শারমিন আকতার (২২) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী-শাশুড়ি মিলে মারপিট ও শরীরে আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকালে উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সজনরা মঙ্গলবার রাতে দগ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দগ্ধ গৃহবধূ মোছা. শারমিন আকতার ওই গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের ছালামের মোড় গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী কোরবান আলী কাবিলের বাজার গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, প্রায় দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। দুই মাসের একটি সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে শারমিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার দিন দুপুরে এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে শারমিনকে মারপিট করে তার স্বামী। পরে শাশুড়ি কুলসুম বেগম গৃহবধূকে ধরে রাখেন আর স্বামী কোরবান আলী গ্যাস লাইটার দিয়ে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তার শরীর আগুনে ঝলসে যায়। পরে বিষয়টি তারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু খবর পেয়ে রাতেই তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন-অর রশীদ জানান, তার শরীরের অধিকাংশ আগুনে ঝলসে গেছে। এছাড়া শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে আটক করেছে।

তিনি আরও জানান, দগ্ধ গৃহবধূর চিকিৎসার কারণে থানায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর