ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর নেতৃত্বে অস্ত্রবাজি চলছে: মির্জা কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের নেতৃত্বে অস্ত্রবাজি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। মন্ত্রী তার স্ত্রীর চাপে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে আজকে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চলছে, আমাকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু খোলামেলা কথা বলে যেতে চাই। এ সুযোগ হয়তো আমার আর থাকবে না।

তিনি বলেন, আমার জীবন অবসান ঘটবে, আমাকে হয়তো কারাগারে নিক্ষেপ করবে। কিন্তু আমার সঙ্গে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আছেন। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আমার পক্ষে আছে। ইনশাআল্লাহ আমি কোনো কিছুকে ভয় করি না।

ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা বলেন, আজকে অস্ত্রবাজি আমার ওপর হচ্ছে, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের এ সমস্ত ঘটনা পরিচালিত করছেন। তার নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। তার অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এখানে আমার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে, আমার কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি সাহেব ভালো মানুষ। আমি উনাকে জানিয়েছি, এখানে ডিবির ওসির নেতৃত্বে এসপির নির্দেশে এখানকার ওসি এবং তদন্ত অফিসারের নির্দেশে সন্ত্রাসীদের একটা চক্র নিয়ে আমার কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে।

তিনি বলেন, আমার মামলাগুলোয় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ ইতোমধ্যে প্রায় আমার ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তাদের লোকজন এখনো ঘোরাফেরা করছে। একরাম চৌধুরীর স্ত্রী এবং তার ছেলে শাবাব-সম্রাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আমাকে গুলি করে হত্যা করবে। একটা লাশ ফেলার আগেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আবারও এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।

কাদের মির্জা আরও বলেন, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে- ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনে যারা আছেন নোয়াখালীর এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তা। এই চারজনকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তাদের যদি প্রত্যাহার করে না নেওয়া হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর