খুনির সঙ্গে কিসের আপস: কাদের মির্জা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী আপস করতে চান জানিয়ে বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নিজাম হাজারী আমার সঙ্গে আপস করতে চায়।  একজন খুনির সঙ্গে কিসের আপস।  নিজাম হাজারী পরশুরামের জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামকে গুলি করে গাড়িতে ঢুকিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, তারা কেউ মামলায় পড়েনি। মামলায় পড়েছে জজ মিয়ারা।
মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন কাদের মির্জা।
নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নোয়াখালীতে আজকে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ২৫ জনকে হত্যা করেছে একরাম চৌধুরী। এত খুন করেও তারা আজ রাজত্ব করছে। দেশ কি এভাবে চলবে? বঙ্গবন্ধু কি এ জন্য দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন? এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় কে দিচ্ছে? কারা এসব চালাচ্ছে?
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, ‘নেত্রী তদন্ত করে এসব বন্ধ করার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ করব।’
তিনি বলেন, ১/১১-এর পর একরাম চৌধুরী সেনাপ্রধান মইন ইউ আহম্মদের ছোট ভাই জাবেদের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের চামড়া বাঁচিয়েছিলেন। এর পর জাবেদকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে বসিয়েছিলেন এবং একরাম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের মির্জা আরও বলেন, এরা ১০ শতাংশ হাইব্রিড নেতা আপনার সব অর্জন ম্লান ও ধ্বংস করে দিচ্ছে। এরা দলের সাইনবোর্ড বিক্রি করে ধান্ধাবাজি করে। আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। ৪৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।
ফেসবুক লাইভের বিষয়ে আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার সহযোগী ফোন রিসিভ করে বলেন , মির্জা ভাই ক্লান্ত, তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার দুটি মোবাইল ফোন বন্ধ ও একটিতে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অপরদিকে ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীকেও বারবার ফোন করলে তিনি বারবার কেটে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর