চরমোনাই মাহফিলে স্থায়ী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধর্মীয় মহাসম্মেলন চরমোনাই’র বার্ষিক মাহফিল-এর জন্য ময়দান সংলগ্ন স্থায়ী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ইসলামী আন্দোলন  বাংলাদেশ আমির মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম হযরত পীর সাহেব চরমোনাই। আজ বুধবার বেলা ১১টায় এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম- শায়খে চরমোনাই, চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ ইসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, চরমোনাই মাহফিল হাসপাতালের পরিচালক (সার্বিক) অধ্যাপক মাওলানা জাকারিয়া হামিদীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য যে, চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে প্রতি বছর দুইটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলাম শান্তি, কল্যাণ ও মানবতার ধর্ম। শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, সমাজ থেকে অশান্তি দূর করা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। আজ সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বলতে নেই। সর্বত্র অশান্তির আগুন জ্বলছে। এমতাবস্থায় শান্তিকামী জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।

দলের মহাসচিব : এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, দেশের সম্পদ লুটপাট বন্ধ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও ফেরত আনা, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, বিচার এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সরকার তার কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে এবং সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতির স্বার্থে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন পরিণত হয়েছে পুতুলে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুটপাটের শিকার হওয়ায় আর্থিক খাতে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। দফায় দফায় শেয়ার বাজার থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বস্ব লুটে নেয়া হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মতো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। অথচ এ সকল ঘটনায় জড়িত রাঘব-বোয়ালদের দুদক এখনও পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে পারেনি। দুদক লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপের বাইরে দেশের দুর্নীতি ও লুটপাটের মূল হোতাদের ধারে কাছেও পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে না। তারা অবিলম্বে দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের গ্রেফতার ও বিচার, দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার ও ফেরত আনার জন্য দুদককে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর