হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভালো আছে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া উটপাখির ৪ ছানা।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পশুপাখি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে ৬টি উটপাখি আমদানি করা হয়। পার্কের দক্ষিণ পশ্চিম পাশের ইমু পাখির পাশের বেষ্টনীতে রাখা হয়। কিছু দিন পর থেকেই উটপাখি নিয়মিত ডিম পাড়তে থাকে। পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রাকৃতিকভাবে উটপাখির একটি বাচ্চা ফোটে। এর পরের বছরই আরো দুটি বাচ্চা ফোটে।
কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছরই পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম পাড়লেও বাচ্চা ফুটছিল না। তবে এবার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিশেষ চিন্তা ভাবনা থেকেই ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেন। এর আগে ইনকিউবেটরে ময়ূরের বাচ্চা ফোটানো হয়েছিল। সে সূত্র ধরেই উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোয় সাফল্য এলো।
উটপাখির ছানাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সমির সুর চৌধুরী জানান, নিয়মিত ঘরের তাপমাত্রা মাপা হয়। কলমি শাক, বাধা কপি কুুচি ও স্টাটার ফিড খেতে দেওয়া হয় বাচ্চাদের।
অপর ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, পৃথিবীতে আকারে সবচেয়ে বড় পাখি হচ্ছে উটপাখি। এদের ডিমও আকারে সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। পুরুষ পাখির শরীর কালো রঙ আর লেজ সাদা রঙের। অপর দিকে নারী উটপাখির সারা শরীরই ধূসর রঙের। বালুময় মরু অঞ্চলে এদের বেশি বিচরণ। সাহারা মরুভূমির উত্তর ও দক্ষিণে এবং পূর্ব আফ্রিকায় বেশি উটপাখির বসবাস।