পানের বাম্পার ফলন, তবু দুশ্চিন্তা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পিরোজপুরে এ বছর পানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষিদের মুখে হাসি থাকার কথা থাকলেও শীতের কারণে তাদের কপালে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তার ভাজ। কুয়াশার প্রভাবে লতা থেকে ঝরে পড়ার পাশাপাশি পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে পান। এতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন চাষিরা।

শীত ও কুয়াশার কারণে পান চাষিদের ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে পানের পাতা হলুদ হয়ে লতা থেকে ঝরে পড়ছে

অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে পানের পাতা হলুদ হয়ে লতা থেকে ঝরে পড়ছে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাবছর পানের বরজে কাজ করার পর এই সময়ে আয়ের মুখ দেখেন পান চাষিরা। এ বছর তুলনামূলক অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে পানের পাতা হলুদ হয়ে লতা থেকে ঝরে পড়ছে। আবার ইদানি, পসলাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে পান। বর্তমানে পানের বাজার মূল্য পোন (পানের একক) প্রতি ১৫০-২০০ টাকা হলেও এ ঝরা পান বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে লাভ তো দূরের কথা মূলধনই আসবে না বলে জানান পান চাষিরা।

ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিরা জানান, প্রতি বছর পানের বরজে পলিথিন দিয়ে শীত ঠেকানো হলেও এ বছর সে ব্যবস্থা কোনো কাযে দিচ্ছে না। কিছুদিন ধরে পান পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া নভেম্বরের বৃষ্টিতেও পানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

২০০ টাকার পান বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ক্ষতি কমাতে ঝরা পান বিক্রি করছেন চাষিরা

২০০ টাকার পান বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ক্ষতি কমাতে ঝরা পান বিক্রি করছেন চাষিরা

পিরোজপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ জানান, এ বছর সদর উপজেলায় ৮৪ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। তবে বৃষ্টি ও শীতে পানের বড় ক্ষতি হচ্ছে। চাষিদের ক্ষতি কমাতে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোনো চাষি ঋণ চাইলে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর