আদালতে মামলা থাকার পর ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে

বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ কোর্টে মামলা রেখে মদন উপজেলার খাগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অভিভাবক এ কে লিটন ২০১৯ সালে সভাপতির পদ বাতিলের জন্য মদন সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৮/২০২০, মিস আপিল নং ৩৮/২০২০। কিন্তু সুচতুর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মামলাটি চলাকালীন সময়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর যোগসাজসে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রধান শিক্ষকসহ ৪টি পদে গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ডে প্রধান শিক্ষক পদে শামছুল আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক টিপু সুলতান, কম্পিউটার ল্যাব মাহমুদা আক্তার আঁখি, নিরাপত্তা পদে মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়াকে নিয়োগ প্রদান করে। কোর্টে মামলা নিস্পত্তি না করে নিয়োগ প্রদান করায় এলাকায় এ নিয়ে  তোলপাড় শুরু হয়েছে।

শিক্ষার্থী অভিভাবক এ কে লিটন জানান, ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আমি ২০১৯ সালে নেত্রকোণার মদন সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে কোর্ট তার পদটি স্থগিত রাখে। কিন্তু তারা যাতে নিয়োগ না দিতে পারে এ ব্যাপারে কোর্টকে অবগত করে ৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে তারা ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রদান করে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের চাপে ১০ ডিসেম্বর আমি আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হই।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর নিকট অভিযোগ ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়েছেন তাই আমাদের কাজ করতেই হবে। মামলার বিষয়টি শোনেছি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর জানান, এ মামলার বিষয়ে কোন নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশনা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা  করেছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর