হাওর বার্তা ডেস্কঃ যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’।
শনিবার সকাল থেকে দেশের সব জেলা-উপজেলা এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি উদযাপন হচ্ছে।
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামের তৃতীয় চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবস উপলক্ষে বিকেল ৩টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২০ প্রতিপাদ্য নির্ভর/ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও কি-নোট স্পিকার হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এছাড়া দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে গত ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টায় দেশব্যাপী অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রতিযোগিরা গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত www.quiz.digitalbangladesh.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাম রেজিস্ট্রেশন করেছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে টকশো প্রচার, দিবসটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরে বাংলা ও ইংরেজিতে দুটি ওয়েবিনারের আয়োজন, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সভা সেমিনার, ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইয়েদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের কার্যক্রম শুরু করেছি। কারণ আজ আধুনিক যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থায় আমরা রয়েছি, এটার ভিত্তিটি রচিত হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর ড. কুদরত-এ-খুদার মাধ্যমে যে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিলেন, সেই শিক্ষা ব্যবস্থাই আজ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থারই মূল ভিত্তি।