ব্রিজ ভেঙে ৪৮ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝিনাই নদী সংলগ্ন দেওলী-কামুটিয়া সড়কের কামুটিয়া উত্তরপাড়ায় ৫০ মিটারের বেশি অংশ ভেঙে ঝিনাই নদীর পানিতে দুটি ইউপি প্লাবিত হয়েছে  এবং বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়কের ছনকাপাড়া এলাকায় প্রবল স্রোতে একটি ব্রিজ ভেঙে গেছে।

এতে উভয় এলাকার প্রায় ৪৮ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কাশিল ইউপির কামুটিয়া উত্তরপাড়ার এ সড়ক এবং কাঞ্চনপুর ইউপির ছনকাপাড়া এলাকার ব্রিজটি ভেঙে যায়।

ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্রতিবছরই নদী তীরবর্তী বাড়িঘর সড়ক ভেঙে যায়। এ বছর গত কয়েক দিনের ক্রমাগত বর্ষণে কাশিল ইউপির দেওলী-কামুটিয়া সড়কটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং তীব্র স্রোতে গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। পরে দুপুরের দিকে বিকট শব্দে ৫০-৬০ হাত সড়ক ভেঙে যায়। ধীরে ধীরে ভাঙন আরো বেড়ে কাশীল ইউপির কামুটিয়া, বাাথুলীশাদী, কাশিল, পিচুড়ী, স্থলবল্লা এবং ফুলকী ইউপির জশিহাটি, ময়থা চরপাড়া, সোনাপাড়া, কমলাপাড়া, গাছপাড়া, মুড়াকৈ, নেদার, তিরঞ্জ, ঝনঝনিয়া, ফুলকি, নিরাল, খাটরা, করটিয়াপাড়া, পার্শ্ববর্তী বাদিয়াজান, কাউলজানী, সেহরাইল, মহিষখালীসহ প্রায় ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে করে ওই এলাকার সড়ক ডুবে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

কাশিল গ্রামের রুপচান আলী বলেন, সড়ক ও ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েক কিলোমিটার বেশি ঘুরে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত সময়ে মধ্যে পুনরায় ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

কামুটিয়া গ্রামের হযরত আলী বলেন, বন্যার কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে। কাজ নেই। অপরদিকে শিশু সন্তান ও গরু বাছুর নিয়ে খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে।

এদিকে গত বুধবার বিকেল থেকে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ডুবে গিয়ে বন্যার পানি কাঞ্চনপুর ইউপির বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে। এ কারণে বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়কের ছনপাড়ার ব্রিজটিতে ব্যাপক স্রোত পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিজটির দক্ষিণপাশে ভাঙন শুরু হয়। বিকেলে ব্রিজটি হঠাৎ করে ভেঙে যায়। এতে করে কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া, যৌতুকী, মটেশ্বর, সোনারচর, ছনকাপাড়া, কোদালিয়াপাড়া, সাহাপাড়া, কাজিরাপাড়া, কামারপাড়া, শাকনায়েরচর, মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর, পাড়দিঘীসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বাসাইলের প্রকৌশলী রোজদীদ আহমেদ বলেন, ১৯৯২-৯৩ সালে কেয়ার বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে ১১ মিটার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এমনিতেও ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে জানানো হয়েছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি আরো বলেন, কামুটিয়ায় ৫০ মিটারের অধিক সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কটি ঝিনাই নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এটি মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহাযোগিতা আশা করছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর