ওরসে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামে ট্রলারডুবে চারজনের মৃত্যু

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঁশখালীতে পৃথক দুইটি ফিশিং বোটডুবির ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন আহত ও নিখোঁজ রয়েছেন।

বুধবার সকালে ও দুপুরে উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়ন ও গণ্ডামারা ইউনিয়নের জ্বলকদর খালে পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মো. আক্কাস (২৮), মো. মিনহাজ (১০), আবদুল মালেক (৫০) ও আবদুল জলিল (৩০)। সবাই ওরস উপলক্ষে বাঁশখালী থেকে ফিশিং বোট বা মাছ ধরার নৌকায় করে কুতুবদিয়া মালেক শাহ (র.) হুজুরের দরবার শরীফে যাচ্ছিলেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৪০-৫০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিশিং ট্রলারে ১২০-১২৫ জন যাত্রী নেয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নৌকা দুটি ডুবে যায়।

ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টায় কাথারিয়া ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রাম থেকে ১২০ জনের অধিক ওরসযাত্রী একটি ফিশিং বোট নিয়ে যাত্রা করে। জ্বলকদর খালের কাথারিয়া চুনতি বাজারের দক্ষিণে পৌঁছলে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া ফিশিং বোটটি উল্টে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থলে ফিশিং বোটের তলায় পড়ে পানিতে ডুবে প্রবাসী মো. আক্কাস (২৮) ঘটনাস্থলে মারা যান।

এ ঘটনা হালিয়াপাড়া কেজি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. মিনহাজ নিখোঁজ হয়। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা মো. বাবুল ও আলী আকরকে বাঁশখালী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। অন্য যাত্রীরা সাঁতার কেটে জ্বলকদর খালের পাড়ে ওঠেন।

অপর ঘটনাটি ঘটেছে, জ্বলকদর গণ্ডামারা এলাকায় সাগরের মোহনায়। খানখানাবাদের কদম রসুল এলাকার ১২৫ জন যাত্রী নিয়ে জনৈক হারুনের ফিশিং বোটটি জ্বলকদর খাল হয়ে কুতুবদিয়া দরবার শরীফে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় গণ্ডামারা সাগরের মোহনায় পৌঁছলে ফিশিং বোটটি উল্টে যায়।

ওই ঘটনায় খানখানাবাদের রায়ছড়া গ্রামের আবদুল মালেক এবং কদম রসূল গ্রামের আবদুল জলিল মারা যান। ওই ঘটনায় ১৩ জন যাত্রী আহত হয়। অন্যরা সাঁতার কেটে কূলে উঠতে সক্ষম হন।

বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পৃথক দুইটি নৌকাডুবির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নৌকাডুবির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতের উদ্ধার করেছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে। কয়েকজন নিখোঁজ আছে বলে জানতে পেরেছি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর