হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভাল একাডেমিক ফলাফল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে চীনের হুনান প্রদেশের সর্বোচ্চ প্রাদেশিক সরকারি বৃত্তি লাভ করেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী এসএম তারিকুল ইসলাম।

তারিকুল ইসলাম ১৯৯৮ সালের ১২এপ্রিল নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেলোবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা রাণীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. বুলেট হোসেন এবং মা মোছা. সুলতানা মোফতারুন বেগম পেশায় শিক্ষক ও গৃহিণী।

তারিকুল ইসলাম ২০১৫ সালে রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে ঢাকার সাভার ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। সে সাভার ল্যাবরেটরি কলেজে প্রতিবছর ভালো ফলাফলের জন্যও একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছে। পরবর্তিতে তারিকুল ইসলাম স্কলারশিপ নিয়ে চীনের হুনান প্রদেশের চাংশা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করার জন্য যায়।

সম্প্রতি হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশা শহরে অবস্থিত চাংশা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য স্নাতক সমাবর্তন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মেধাবী তারিকুল ইসলাম চাংশা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ওই বিশ্ববিদ্যালয় ও হুনান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ তাকে সর্বোচ্চ প্রাদেশিক সরকারি বৃত্তি প্রদান করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের য়ুনথাং ক্যাম্পাসের আন্তর্জাতিক কলেজে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য স্নাতক সমাবর্তন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার হাতে এই বৃত্তি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আন্তর্জাতিক কলেজের ডিন, ডেপুটি ডিন, পরিচালক, ডেপুটি পরিচালক ও শিক্ষকসহ অন্যরা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশেই মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।

তারিকুলের অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা ও অধ্যবসায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি তাকে বিভিন্ন বিষযে পুরস্কৃত এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দিলেও অবশেষে তাকে ওই প্রদেশের সরকার সর্বোচ্চ প্রাদেশিক সরকারি স্কলারশিপ দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, তারিকুল ইসলাম তার এই অসাধারণ সাফল্যের মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে উজ্জ্বল করেছে লাল সবুজের বাংলাদেশকে। তার এই সাফল্যে দেশ ও জাতি গর্বিত। তার পরিবার-আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসী সবাই আনন্দিত ও উদ্বেলিত। তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক ও শুভানুধায়ীরা তারিকুলের জন্য আল্লাহর কাছে দীর্ঘায়ু এবং সবার কাছে দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেছেন।