হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডায়াবেটিতে আক্রান্ত হলে আমরা কী খাব আর খাব না, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। কখনো ভুল নিয়ম পালন করতে গিয়ে নিজেদের ক্ষতি করে বসি। এতে ডায়াবেটিস রোগীর জীবন দিনে দিনে কঠিন হয়ে পড়ে। আপনাদের ভুল ধারণা দূর করতে কিছু পরামর্শ-
১. ঘুম থেকে ওঠার ঘণ্টাখানেকের ভেতরই খেতে হবে। খুব ভারী খাবার খেতে হবে এমনটা না, হালকা কিছু হলেও চলবে। এতে আপনার হজম প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। প্রোটিন, শ্বেতসার ও চর্বিজাতীয় খাবার মেন্যুতে থাকতে পারে।
২. যখনই আপনি খাবেন, তালিকায় প্রোটিন ও চর্বিযুক্ত খাবার রাখবেন। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খাবেন। এটা আপনার শারীরিক পরিশ্রমে সহায়ক হবে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ায় শরীর সুস্থ থাকবে।
৩. প্রতি তিন থেকে চারঘণ্টার মধ্যে খাবার খেতে হবে। এ নিয়ম আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া রোধ করবে। একই পরিমাণ শ্বেতসার জাতীয় খাবার গ্রহণ রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যদি আপনি সকালে দুই পদের খাবার খান, তবে সবসময় এ দুটো খাওয়াই আপনার জন্য ভাল হবে।
৪. শ্বেতসার জাতীয় খাবার কম খাবেন। তবে একেবারে বাদ দেবেন না। প্রোটিনের সমপরিমাণ রাখবেন। কেউ কেউ শ্বেতসার খাবার খেতে না করতে পারেন। কিন্তু সেটা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যাবে। প্রতিদিনের খাবারে শ্বেতসারের জায়গা রাখতে হবে। যখন কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তখন শ্বেতসারের পরিমাণ ও বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষের আলাদা বৈশিষ্ট্যের। আপনার ওষুধ, শরীরের ওজন ও ইনসুলিন ঠিক করে দেবে, প্রতিবার খাবারে টেবিলে বসে আপনি কতটা খাবেন।
৫. সম্ভাব্য সবচেয়ে ভাল শ্বেতসার জাতীয় খাবারটি বেছে নেবেন। আপনাকেই বাছাই করে নিতে হবে, কোনটা আপনি সহ্য করতে পারবেন, কোনটা পারবেন না। আস্ত শস্যদানা, মটর জাতীয় শস্য, শস্যকনা, টমেটো ও ফল খেতে পারেন।
৬. নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। দিনে অন্তত আধঘণ্টা। হাঁটা, সাঁতার কাটা, হালকা দৌড়ানো ও ওয়েট লিফটিং- এ রকম যে কোনো ধরনের শরীর চর্চা গুরুত্বপূর্ণ।
৭. পানি পান করুন। শর্করাজাতীয় পানীয় খাবেন না।
৮. প্রচুর সবজি খাবেন। খেতে বসলে প্লেটের অর্ধেকটা সবজিতে ভরে রাখবেন।
৯. অ্যালকোহল কমিয়ে দেন অথবা একেবারে বাদ দিন। তবে মাঝেমধ্যে কোনো অনুষ্ঠানে আপনি এটা খেতে পারেন। তাতে সমস্যা হবে না। কিন্তু নিয়মিত খেলে আপনার নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১০. জানুন ও বুঝতে চেষ্টা করুন শর্করামুক্ত বলতে শ্বেতসারমুক্ত না। শর্করামুক্ত বিস্কুট, চকোলেট, কেক ও রাতের খাবার রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে। কাজেই এসব খাবার খেতে আপনাদের সংযম অবলম্বন করতে হবে।