ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওজন কমাতে কার্যকরী খাবার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮
  • ২৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এটি। যার ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকসহ মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে বাঁচাতে আজই ওজন নিয়ন্ত্রণে মন দিন। ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডায়েটে পরিবর্তন আনা।

ডায়েট কিছু সময়ের জন্য ওজন কমালেও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনে না। কিছু সময়ের জন্য এই ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমলেও আবার ওজন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। এ রকম অনেক কারণ রয়েছে ডায়েট করেও ওজন না কমার।

ওজন কামাতে আপনাকে সাহায্য করবে ৪টি কার্যকরী খাবার। দেখে নিন কোন খাবারগুলো

১) পেয়ারা-যাদের ওজন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন৷ পেয়ারা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই ঝড়ানো সম্ভব। এটি যেকোন ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের সমস্যা দূর করতেও বেশ কার্যকরী। প্রায় ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে ২৬০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এটিকে ভিটামিন ‘সি’-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়। এটি শরীর স্কিন ভালো রাখতেও কার্যকর।

২) ব্রকলি-ব্রকলির মতো ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি বেশি করে খেলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পায় না।

৩) পালং শাক-এই শাকটিতে উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন কে, সি, ফলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং জিঙ্ক দেহে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই শাকটিতে উপস্থিত ফাইবার, বহুক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ওজন ঝরে যেতে সময় লাগে না।

৪) বাঁধাকপি-দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে রোজের ডায়েটে বাঁধাকোপিকে রাখতে ভুলবেন না। এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।

দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খাদ্যাভ্যাসকে অস্বীকার করেন। কোনো বেলার খাবারকে হয়তো বাদই দিয়ে দেন। এটা ঠিক নয়। দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট স্বল্প মেয়াদি কাজ করতে পারে। এসব ডায়েটে ওজন কিছু সময়ের জন্য কমলেও যে ওজন ঝড়িয়েছেন সেটা পুনরায় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বেড়ে যেতে পারে। আর দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট মেনে চলতে থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারকে অবহেলা করে বা কোনো বেলায় খাবার বাদ দিয়ে ডায়েট করবেন না। আর ডায়েট শুরুর আগে ভাবুন, কী খাবেন, কখন খাবেন, কোথায় খাবেন এবং কেন খাবেন। সব নির্দিষ্ট করে ডায়েট শুরু করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ওজন কমাতে কার্যকরী খাবার

আপডেট টাইম : ০৩:১৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এটি। যার ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকসহ মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে বাঁচাতে আজই ওজন নিয়ন্ত্রণে মন দিন। ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডায়েটে পরিবর্তন আনা।

ডায়েট কিছু সময়ের জন্য ওজন কমালেও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনে না। কিছু সময়ের জন্য এই ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমলেও আবার ওজন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। এ রকম অনেক কারণ রয়েছে ডায়েট করেও ওজন না কমার।

ওজন কামাতে আপনাকে সাহায্য করবে ৪টি কার্যকরী খাবার। দেখে নিন কোন খাবারগুলো

১) পেয়ারা-যাদের ওজন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন৷ পেয়ারা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই ঝড়ানো সম্ভব। এটি যেকোন ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের সমস্যা দূর করতেও বেশ কার্যকরী। প্রায় ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে ২৬০ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এটিকে ভিটামিন ‘সি’-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়। এটি শরীর স্কিন ভালো রাখতেও কার্যকর।

২) ব্রকলি-ব্রকলির মতো ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি বেশি করে খেলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে শরীরে মেদ জমার সুযোগই পায় না।

৩) পালং শাক-এই শাকটিতে উপস্থিত ফাইবার, ভিটামিন কে, সি, ফলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং জিঙ্ক দেহে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই শাকটিতে উপস্থিত ফাইবার, বহুক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ওজন ঝরে যেতে সময় লাগে না।

৪) বাঁধাকপি-দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে রোজের ডায়েটে বাঁধাকোপিকে রাখতে ভুলবেন না। এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।

দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খাদ্যাভ্যাসকে অস্বীকার করেন। কোনো বেলার খাবারকে হয়তো বাদই দিয়ে দেন। এটা ঠিক নয়। দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট স্বল্প মেয়াদি কাজ করতে পারে। এসব ডায়েটে ওজন কিছু সময়ের জন্য কমলেও যে ওজন ঝড়িয়েছেন সেটা পুনরায় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বেড়ে যেতে পারে। আর দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট মেনে চলতে থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারকে অবহেলা করে বা কোনো বেলায় খাবার বাদ দিয়ে ডায়েট করবেন না। আর ডায়েট শুরুর আগে ভাবুন, কী খাবেন, কখন খাবেন, কোথায় খাবেন এবং কেন খাবেন। সব নির্দিষ্ট করে ডায়েট শুরু করুন।