ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সায়ন্তিকার বিচ্ছেদের পর বদলে যাওয়া জীবন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৮
  • ৪০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত সাত-আট বছরের সম্পর্ক। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘টার্গেট: দ্য ফাইনাল মিশন’। সেই সিনেমাতেই নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন জয় মুখোপাধ্যায় এবং সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। সেই থেকে বন্ধুত্ব শুরু। এরপর সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে সম্পর্কে পরিণতি পায়। একের পর এক বড় বড় সিনেমার অফার পেতে শুরু করেন সায়ন্তিকা। বড় ব্যানারের সিনেমাতে দেখা যায় তাকে।

অন্যদিকে জয়ের ক্যারিয়ার তেমন একটা জমকালো ছিল না। ক্যারিয়ারের দৌঁড়ে জয়কে অনেকটা পেছনে ফেলে এগিয়ে যান সায়ন্তিকা। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু জয়ের নানা আচরণ ও ব্যবহারে সেই প্রেমে ফাটল ধরে। তারপর থেকেই নানা ভাবে জয় তাকে উত্যক্ত করছিলেন বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তিকা।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী। জানা তিক্ত সব অভিজ্ঞতার কথা। সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি খুব অপ্টিমিস্টিক মানুষ। বাবা আমাকে শিখিয়েছেন, জীবনের কঠিন মুহূর্তে নেগেটিভ ভাবলে, তার থেকে বেরোতে পারবে না। তা ঝেড়ে ফেললেই সামনের দিকে এগোনো যায়। সেটাই চেষ্টা করেছি। তবে লড়াই করার জোর আমার মধ্যে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এত দিন আমার মধ্যে স্থিরতার অভাব বলেই ধারণা ছিল। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝলাম, মাথা ঠান্ডা রেখে সব কিছু হ্যান্ডল করার ক্ষমতা আমারও আছে।’

বিষয়টি নিয়ে পরিবারের ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাবা-মা তো দু’জনকেই খুব ভালোবাসতেন। তাই যখন আমি কষ্ট পাচ্ছি, সেখানে ওঁরা কী ভাবে ভালো থাকবেন? ব্রেকআপ বোধহয় আমাদের ভাগ্যে ছিল। সে অর্থে আমাদের মধ্যে ডিফারেন্সও বিশেষ ছিল না। তবে আমরা দু’জনেই পাবলিক ফিগার। যে সময়টা একসঙ্গে কাটিয়েছি, সেটা মনে রেখে ওকে ছোট করতে চাই না। তবে ছোটবেলা থেকেই আমি ফাইটার। যে কোনও সিচুয়েশন আসুক, তা সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে। একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু সেটা আগামী দিনে আমার জীবনে এফেক্ট করবে না।’

অতীত সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও ছিল। সেই বন্ধুত্বটা খুব মিস করি। তা বাদে যাদের আমি বন্ধু ভেবেছিলাম, আজ তারা আর আমার বন্ধু নয়। সেটা ইন্ডাস্ট্রির বাইরেও বটে। আমি কিন্তু ওদের প্রতি নিজের ফিলিংস মিস করি, আনন্দের সময়গুলোও। আমি কাউকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবছি, তার উন্নতিতে আমিও খুশি হব। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, সে-ও আমার সম্পর্কে সেটাই ভাবছে। এখানেই আমি ভুল। আমাকে প্র্যাক্টিক্যাল হতে হবে। আর গত এক বছরের মধ্যে আমি প্রচুর মানুষ চিনেছি। বন্ধু চিনেছি। আগামী দিনে খুব সুবিধে হবে বন্ধু বানাতে। আমি জানব যে, কতটা বন্ধু বানানো উচিত বা নয়।’
সূত্র : আনন্দবাজার

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সায়ন্তিকার বিচ্ছেদের পর বদলে যাওয়া জীবন

আপডেট টাইম : ১১:৫২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত সাত-আট বছরের সম্পর্ক। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘টার্গেট: দ্য ফাইনাল মিশন’। সেই সিনেমাতেই নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন জয় মুখোপাধ্যায় এবং সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। সেই থেকে বন্ধুত্ব শুরু। এরপর সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে সম্পর্কে পরিণতি পায়। একের পর এক বড় বড় সিনেমার অফার পেতে শুরু করেন সায়ন্তিকা। বড় ব্যানারের সিনেমাতে দেখা যায় তাকে।

অন্যদিকে জয়ের ক্যারিয়ার তেমন একটা জমকালো ছিল না। ক্যারিয়ারের দৌঁড়ে জয়কে অনেকটা পেছনে ফেলে এগিয়ে যান সায়ন্তিকা। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু জয়ের নানা আচরণ ও ব্যবহারে সেই প্রেমে ফাটল ধরে। তারপর থেকেই নানা ভাবে জয় তাকে উত্যক্ত করছিলেন বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তিকা।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী। জানা তিক্ত সব অভিজ্ঞতার কথা। সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি খুব অপ্টিমিস্টিক মানুষ। বাবা আমাকে শিখিয়েছেন, জীবনের কঠিন মুহূর্তে নেগেটিভ ভাবলে, তার থেকে বেরোতে পারবে না। তা ঝেড়ে ফেললেই সামনের দিকে এগোনো যায়। সেটাই চেষ্টা করেছি। তবে লড়াই করার জোর আমার মধ্যে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এত দিন আমার মধ্যে স্থিরতার অভাব বলেই ধারণা ছিল। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝলাম, মাথা ঠান্ডা রেখে সব কিছু হ্যান্ডল করার ক্ষমতা আমারও আছে।’

বিষয়টি নিয়ে পরিবারের ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাবা-মা তো দু’জনকেই খুব ভালোবাসতেন। তাই যখন আমি কষ্ট পাচ্ছি, সেখানে ওঁরা কী ভাবে ভালো থাকবেন? ব্রেকআপ বোধহয় আমাদের ভাগ্যে ছিল। সে অর্থে আমাদের মধ্যে ডিফারেন্সও বিশেষ ছিল না। তবে আমরা দু’জনেই পাবলিক ফিগার। যে সময়টা একসঙ্গে কাটিয়েছি, সেটা মনে রেখে ওকে ছোট করতে চাই না। তবে ছোটবেলা থেকেই আমি ফাইটার। যে কোনও সিচুয়েশন আসুক, তা সহ্য করার ক্ষমতা আমার আছে। একটা দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু সেটা আগামী দিনে আমার জীবনে এফেক্ট করবে না।’

অতীত সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল, সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ডও ছিল। সেই বন্ধুত্বটা খুব মিস করি। তা বাদে যাদের আমি বন্ধু ভেবেছিলাম, আজ তারা আর আমার বন্ধু নয়। সেটা ইন্ডাস্ট্রির বাইরেও বটে। আমি কিন্তু ওদের প্রতি নিজের ফিলিংস মিস করি, আনন্দের সময়গুলোও। আমি কাউকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবছি, তার উন্নতিতে আমিও খুশি হব। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, সে-ও আমার সম্পর্কে সেটাই ভাবছে। এখানেই আমি ভুল। আমাকে প্র্যাক্টিক্যাল হতে হবে। আর গত এক বছরের মধ্যে আমি প্রচুর মানুষ চিনেছি। বন্ধু চিনেছি। আগামী দিনে খুব সুবিধে হবে বন্ধু বানাতে। আমি জানব যে, কতটা বন্ধু বানানো উচিত বা নয়।’
সূত্র : আনন্দবাজার