হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় জামরুল পাওয়া যায়। এটি সাদা থেকে শুরু করে হালকা সবুজ, সবুজ লাল কিংবা বেগুনি রঙের জামরুলও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায়। খুব বেশি মিষ্টি না হলেও জামরুল খেতে বেশ সুস্বাদু। প্রাচীনকালে জামরুল গাছের পাতা, ফল এবং বীজ ওষুধি হিসেবে ব্যবহার হতো। জামরুলের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক।
জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে। দেখতে ছোট ফল হলেও এর গুণ অনেক বড় ফলের মতো। এতে তরমুজ ও আনারসের সমান খনিজ পদার্থ আছে। জামরুল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ জন্য এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
জামরুলে ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্য সহায়ক। সেই সঙ্গে এটি কোষ্টকাঠিন্য সারাতেও সাহায্য করে। প্রাচীনকালে এর বীজ ডায়রিয়া এবং আমাশয় চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হতো। জামরুলে ভিটামিন এ এবং সি থাকায় এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রস্টেট এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে জামরুল বেশ কার্যকরী।
প্রাচীনকালে চিকিৎসকগণ লিভার এবং কিডনি পরিষ্কার রাখতে জামরুল খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকায় জামরুল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জামরুল নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে ত্বক রক্ষা করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।