হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষমাত্রই ভালোবাসার পূজারি। ভালোবাসা আর ভাললাগাটা হুটহাট কখন যে চলে আসে, সেটা নিজেরও অজানা। ভালোবাসার সব অভিব্যাক্তি প্রকাশ পায় না। জীবনানন্দ দাশ বলেছিলেন, প্রেম ধীরে ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন সরে যেতে হয়। যে প্রেমের পরিনতি হয় না। সে প্রেম হয়তো মুছে যায়। কিন্তু স্মৃতি হয়ে তো ঠিকই রয়ে যায়। জেনে নিন তাঁদের প্রথম প্রেমের রোমাঞ্চকর সব ঘটনা-
পূর্ণিমা
তখন আমি ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। ওই সময় একটা ছেলেকে আমার ভালো লাগতে শুরু করল। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনদিন ছেলেটাকে কিছু বলতে পারতাম না। পৃথিবীর সব মানুষই ভালোবাসার মানুষের কাছে কিছুটা ভিতু থাকে। কখনোই সাহসী হয়ে উঠতে পারে না আর সাহসী হয়ে উঠতে পারলে ভীষণ ধন্য হয়।
মাসুমা রহমান নাবিলা
আমার স্কুল জীবনটা কেঁটেছে সৌদি আরবে। সেখানেই প্রেমে পড়া। আমার স্কুল ছিল বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব জেদ্দা। সেখানেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একটি ছেলের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়লাম। বিষয়টা একতরফাও ছিল না। কারণ ওই ছেলের চোখ দেখে বুঝতাম সেও আমাকে পছন্দ করে। টিফিনের সময় আমাদের চোখাচোখি হত। স্কুলে এতটা সময় পার করলেও কখনো তাঁর সঙ্গে ভালো লাগার বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়নি। আমরা বাংলাদেশে চলে আসি তাকে কিছু না বলেই। তারাও কিছুদিনের মধ্যে চলে আসে। একদিন তাকে আমিই আগ বাড়িয়ে বলে ফেললাম। সে লজ্জিত হয়ে বললো তারও প্ল্যান ছিল বলবে। কিন্তু সুযোগ করে পারছিলো না। সেই আমার হবু জামাই জোবাইদুল হক।
জাকিয়া বারী মম
আমাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় মধ্য পাড়ায়। আমাদের বাসার নিয়মকানুন ছিল খুবই কড়া। বাবা ছিলেন খুব রাগী। আমরা সবাই বাঘের মত ভয় পেতাম তাকে। তাই প্রেম নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার কখনো কোন সুযোগই পাইনি। তবে স্কুলে যাওয়ার পথে অনেক চিঠি পেয়েছি। এমনই ভয় পেতাম বাবাকে। চিঠি সোজা বাবার কাছে দিয়ে দিতাম। তখন আমরা যাচ্ছেতা ভাবে শাসনের মধ্যে ছিলাম। এত ধকল সামলে প্রেম করা ছিল বেশ কঠিন। এসএসসির পর আমি ঢাকায় চলে আসি। ভর্তি হই ঢাকা সিটি কলেজে। স্কুলে কিংবা কলেজে পড়ার সময় প্রেম শব্দটির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম প্রেমে পড়ি। ছেলেটি কে? পরিচয়টা গোপনই থাক। নামটা বললে বেচারা এখন বউয়ের হাতে মার খেতে পারে। আমার কিছুটা সিনিয়র ছিল।
আরেফিন শুভ
আমাদের পাড়ার একটা মেয়েকে খুব ভাললাগতো। হুট করে কোথা থেকে যেন আসলো। আমাদের বাসার কাছাকাছি ওদের বাসা। ওদের পরিবারের লোকজন আসতো আমাদের বাসায়। আমরা যেতাম ওদের বাসায়। তবে আমার ওদের বাসায় আর ওর আমাদের বাসায় যাতায়াতটা একটু কম ছিল। ওর বাসার কেউ আসলেই খুজতাম ও আসছে কিনা। তখন তো মোবাইলের যুগ শুরু হয়নি। চিঠিও দিতে পারতাম না। চিঠি দিলে একটা প্রমান থেকে যায়। কত কিছুর মধ্যে ভালোবাসা আর ভাল লাগা চলতে থাকে। প্রেমটা কখনোই করা হয়নি। ওকে দেখলেই যে বোবা হওয়ার অভ্যাস।